উত্তরঃ নাবিলের আচরণে আখলাকে যামীমাহ এর পরশ্রিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে।যার কুফল পাঠ্যপুস্তকের আলোকে অত্যন্ত ভয়াবহ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
পরশ্রীকাতরতা অপকারিতা অপরিসীম।
হযরত (আঃ) এর পদমর্যাদা দেখে ইবলিশ তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হউন। ফলে সে অভিশপ্ত হয় এবং আল্লাহর দয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
মানব সৃষ্টির ঈর্ষার৷ কারণে সর্বপ্রথম পাপ সংঘটিত হয়। আদম (আঃ) এর পুত্র কাবিল পরশ্রীকাতরতার বংশ বর্তী হয়ে তাই আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করে। পরশ্রীকাতরতা মানুষের পূন্য কাজগুলোকে ধবংস করে দেয়।
এ সম্পর্কে মহানবী (সঃ) বলেছেন “আগুণ যেমন সবকিছুকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয় ঠিক তেমনি পরশ্রীকাতরতাও মানুষের পূন্য কাজগুলো কে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়।”
পরশ্রীকাতরতা মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে।মনে অশান্টির আগুণ জ্বালিয়ে দেয়।
পরশ্রীকাতর ব্যক্তি আল্লাহ ও মানুষের কাছে গৃনীত।কেউ তাকে ভালোবাসেনা, কেউ তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে চায় না। সমাজের লোকেরা তাকে এড়িয়ে চলে।সমাজে অশান্তির সৃষ্টি করে এই পরশ্রীকাতরতা।
এটি মানুষের মনে অহংকার সৃষ্টি করে।আর অহংকার হলো পতনের মূল।
উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে পরশ্রীকাতরতার কুফল অত্যন্ত ভয়াভহ জিনিস। সুতরাং আমরা পরশ্রীকাতর হব না।