বিদ্যালয় এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা শুধু জ্ঞানই অর্জন করি না বরং সারা জীবনের জন্য কিছু অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় বিদ্যালয় থেকে। যখনই আপনি আপনার স্কুলের দিনগুলোর কথা চিন্তা করবেন আপনার চেহারা হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে। স্কুলে কাটানো সময়গুলো আসলে খুবই অসাধারন হয়। প্রত্যেক দেশের স্কুলগুলো নিজস্ব সংস্কৃতি ও ইতিহাসগুলো নিজের দেশের ভাষায় পড়ায়। প্রত্যেকটা দেশই চায় তার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক এবং দেশের উন্নয়নে অংশগ্রহন করুক। কিন্ত এর বাইরেও পৃথিবীতে বেশ কিছু অদ্ভূত স্কুল রয়েছে। আজ আমি অপনাদের সাথে তেমন কিছু অদ্ভূত স্কুলের গল্প বলবো। এগুলো শুধুমাত্র অদ্ভূত বা আজব নয় বরং বেশ আকর্ষণীয়।
১. ট্রাবাজো ইয়া স্কুল: স্পেনে অবস্থিত এই অদ্ভূত স্কুলটিতে বেশ্যাবৃত্তির শিক্ষা দেওয়া হয়। এই পেশাকে আমাদের দেশে ঘৃনিত পেশা হিসেবে দেখা হয় এমনকি এই ব্যাপারে কোনো কথা বলাও আমাদের দেশে স্বীকৃত নয়। কিন্ত স্পেনে বেশ্যাবৃত্তি বৈধ এবং সেখানে প্রায় চার লক্ষ বৈধ বেশ্যা রয়েছে। স্কুলটিতে গ্রাহকদের খুশি রাখার নিয়ম শেখানো হয়। এটি পৃথিবীর একমাত্র স্কুল যেখানে বেতন প্রায় ছয় হাজার টাকার কাছাকাছি।
২. দ্যা ট্রেন প্লাটফর্ম স্কুল: এটি ভারতে অবস্থিত। ভারত শিক্ষায় উন্নত হয়ে গেলেও সেখানকার রাস্তায় বেশ কিছু বাচ্চাকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে ভারতীয় শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ খুব ভালো একটি পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন রেলওয়ে প্লাটফর্মে স্কুল খুলেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় চার হাজার শিশুরা লেখাপড়া করেন।
৩. নৌকা স্কুল: এটি বাংলাদেশের একটি স্কুল। আমরা তো সবসময় উচু উচু উন্নত ভবনবিশিষ্ট বিদ্যালয় দেথেছি। কিন্ত আমাদের দেশে এমন স্কুল আছে যা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এই স্কুলগুলো নৌকায় গড়ে উঠেছে শুধু এতটুকুই নয়, এই স্কুলগুলোতে বিদ্যুৎ ব্যবহারসহ কম্পিউটার রুমও রয়েছে। আসলে প্রতিবছর বন্যার কারনে আমাদের দেশের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। একারনে স্কুলের বাচ্চাদেরও পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়। এই কথা মাথায় রেখেই নৌকা স্কুল বিভিন্ন এনজিও মিলে চালু করে।
৪. হারভেস্ট মিল্ক স্কুল: লেসবিয়ান, গে ও ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য বানানো এটি পৃথিবীর প্রথম স্কুল। এইরকম শারীরিক গঠনের মানুষদের আমরা ভালো চোখে দেখি না। যা তাদের পড়াশোনার ওপরও প্রভাব ফেলে। তাদের জন্য নিউইয়র্কে এই বিশেষ স্কুলটিকে তৈরি করা হয়েছে।
৫. হুইচ স্কুল: আমেরিকাতে এই স্কুলটি অবস্থিত। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ব্ল্যাক মেজিক, পেত্নী, ডাইনি ইত্যাদি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। বর্তমানে এই স্কুলের সাথে প্রায় আমেরিকার চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা হয়েছে।
৬. চীনের পাহাড়ী স্কুল: পাহাড়ে উঠতে কে না পছন্দ করে। কিন্ত আপনাকে যদি প্রত্যেকদিন একটি ভয়ংকর পাহাড়ে উঠতে বলা হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে? চীনে এমনই একটি স্কুল রয়েছে এবং সেখানে প্রতিদিনই পাহাড়ের উপর উঠতে হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে চীনের এই স্কুলটি এর্টিওলা নামক গ্রামের ব্লু পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। এই স্কুলের বাচ্চাগুলো তাদের ভারী ভারী ব্যাগ নিয়ে প্রতিদিন ৮০০ মিটার উচ্চতায় ওঠে। প্রতিদিন নিজেদের স্কুল পর্যন্ত পৌছতে দুই ঘন্টা সময় লাগে।