শীতকালকে আমরা সবাই ভালবাসি। কিন্তু অনেক সময় বাইরে প্রচন্ড শীত আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ সময় আপনি নিজেকে ঘরে আবদ্ধ রাখতে চান এবং আপনার সন্তানটি কে আঁকড়ে ধরে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখতে চান। কিন্তু তাকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। আর এই গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো জানতে পারলেই আপনি আপনার ছোট্ট সোনামণিকে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখতে পারবেন। আসুন জেনে নেই সেই গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো কি কি :
সচেতনতা: আপনার শিশুকে ধুলাবালু তো ঠান্ডা থেকে দূরে রাখুন কারণ এটা আপনার শিশুর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে
জনসমাগম: জনসমাগম কোন জায়গায় আপনার শিশুকে নেবেন না আপনার শিশু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে
ব্যবহার্য জিনিসপত্র: শিশুর গামছা, তোয়ালে ও রুমাল আলাদা রাখবেন। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আপনার সোনামণি কে দূরে রাখবেন।
মাস্ক এর ব্যবহার: ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই আপনার শিশুকে মাস্ক এর ব্যবহার শিখান। এতে আপনার শিশু সুরক্ষিত থাকবে।
ভেষজের ব্যবহার: ঠান্ডা জনিত সমস্যায় আপনার শিশুকে আদার রস, তুলসী পাতার রস , মধু খাওয়াতে পারেন। এতে আপনার সন্তান সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকবে।
গরম পানির ব্যবহার: আপনার সন্তানকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গরগরা করাতে অভ্যস্ত করুন। এতে আপনার সন্তান অনেকটাই সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকবে।
গোসলের করণীয়: শীতকালে আপনার শিশুকে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করান। তবে মাথার মধ্যে অবশ্যই ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করবেন। আর নবজাতক হলে কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে পারেন। মনে রাখবেন কখনোই সরিষার তেল বেশি করে দিয়ে আপনার শিশুকে গোসল করাবেন না। এতে করে আপনার শিশুর ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
পোশাক পরিধান: মনে রাখবেন আপনার শিশুকে সুতি কাপড় পড়াবেন এবং তার উপর উলের পোশাক পড়াবেন। সরাসরি উলের পোশাক পড়াতে যাবেন না। এতে করে আপনার শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে।
খাওয়া-দাওয়া: শীতে অবশ্যই আপনার শিশুকে পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়াবেন। এ সময় শিশুদের রুচি কমে যায় ।না খেয়ে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় তাদেরকে ফলের রস, ডিমের কুসুম ও সবজি খাওয়াবেন। পাশাপাশি টমেটো, গাজর, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খাওয়াবেন। এতে তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। ফলে তারা সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকবে।
শিশুর ত্বকের যত্ন: শিশুর ত্বকের যত্নে বেবি লোশন, বেবি অয়েল ও গ্লিসারিন ব্যবহার করুন এতে তাদের রুক্ষতা থেকে সুরক্ষিত হবে।
নখ:আপনার সন্তানের হাতের নখগুলো ছোট রাখবেন।ফলে খাবারের সাথে রোগ জীবাণু আপনার সন্তানের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে আপনার শিশু সুরক্ষিত থাকবে।
আশা করি, আমার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি এতটুক ভালো লেগে থাকে,তবে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন।