হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময়। আজ আমি সাস্থ্য বিষয়ক নতুন আরো একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণের এ পোষ্টটি পড়ে কিছুটা হলেও নিজেদের উপকার আসবে।
আজকের পোষ্টিটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো— ডিম এর সাদা অংশের বহুগুন।
হ্যাঁ বন্ধুরা ডিম হয়ত আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। কেউ কেউ খুব পছন্দ করি আবার কেউ খেতে অনীহা করি। কিন্তু সে হয়তো জানে না যে,
ডিম আমাদের সুসাস্থের জন্য একটি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য তো বটেই সেই সাথে অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক ডিম এর সাদা অংশের উপকারী কিছু বহুগুন—
ডিম এর সাদা অংশের বহুগুন
ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। তাছাড়া ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার পেছনে আরও অনেক উপকারিতা আছে। নিচে আমি ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যাদি বর্ণনা করছি—
১. দুর্বল হাড়ের জন্যঃ ডিমের সাদা অংশে ভরপুর পরিমানে ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। এটি আপনার হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে বেশ সহায়তা করে। এছাড়া রিকেসটস নামক রোগের প্রতিকার করতেও সহায়ক আপনার ডিমের এই সাদা অংশ।
২. হৃদপিন্ড সুস্থ ও সবল রাখতেঃ রক্ত জমাট বাঁধার মতো জটিল সমস্যার জন্য ডিমের সাদা অংশ খুবই কার্যকর। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিদ্যমান যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম আপনার হৃদপিন্ডের জন্য খুব উপকারী।
৩. উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেঃ আপনার রক্তচাপ বেশি থাকলে আপনি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপের স্তর কমাতে অনেক কার্যকর।
৪. ক্লান্তি দূরীকরণেঃ ডিম খেলে শরীরে আয়রণের ঘাটতি পূরণ হয়। আপনার যদি মাথা ঘোরা বা অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করার মতো সমস্যা থাকে তাহলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।
৪. পেশির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ আপনি হয়তো জানেন না, ডিমের সাদা অংশকে প্রোটিনের ‘পাওয়ার হাউস’ বলা হয়। তাই পেশির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ডিমের সাদা অংশ অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান।
তাই আপনাদের বলছি যে, উপরোক্ত ডিমের সাদা অংশের কার্যকারিতাগুলো পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিমের সাদা অংশ রাখুন এবং পরিবারের সকলকে খেতে উৎসাহিত করুন। এতে আপনার ও আপনার পরিবারের উভয়েরই পক্ষে লাভ।
আজকে এ পর্যন্তই।
ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।