চুল যার উপর নির্ভরশীল মানুষের সৌন্দর্যের প্রায় অনেক টা অংশ। এই চুল আমাদের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের মুখের নানা প্রকার খুটিনাটি ক্ষুদ ঢাকতে সাহায্য করে।
আর তাই চুল নারী পুরুষ সবার কাছে একটা সম্পদ। এ কারনে নারী হোক না পুরুষ এই চুলকে সকলেই নিজের মত করে রক্ষা করতে চাই।কিন্তু আমাদের দেশে পুরুষেদের মধ্যে বেশির ভাগ চুল ছোট রাখে এবং মেয়েরা চুল লম্বা রাখে। তাই লম্বা হওয়ার কারনে মেয়েদের চুল বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হয় পুরুষদের থেকে বেশি।
আর আমদের দেশের মেয়েরা তো নিজেদের কালো, লম্বা, ঘন, নরম, এবং রেশমি চুলের জন্য বিখ্যাত।
কিন্তু বিভিন্ন কারনে এখন সময়ের আগে আমাদের চুলকে আমার হারিয়ে ফেলেছি। এর মধ্যে কয়েক টি কারন হলো
সঠিক যত্ন না নেওয়া, বাইরে ধুলা বালি, অতিরিক্ত মানষিক চাপ।আর অন্যতম কারণ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে দিয়ে তৈরি প্রসাধনীর ব্যাবহার । এ জন্য চুলের যত্নে যদি আমরা প্রকৃতিক উপাদান ব্যাবহার করি তাহলে আমারা আমাদের এই চুল অনেকাংশে ভালো রাখতে পারব। এর জন্য আমাদের আসে পাশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান আমার ব্যাবহার করতে পারি।
১) চুলের ঝরাঃ এখন কার দিনের চুল ঝরা প্রায় প্রত্যেক মানুষের একটা অন্যতম সমস্যা। আর এ কারনে অনেক মানুষকে বয়সেত থেকে বেশি বয়সস্ক দেখায়।তাই চুল ঝরা রোধ করা অতন্ত জরুরি। আর চুলে ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারন শ্যাম্পুর পর চুল ভালো করে না ধোঁয়া। এর ফতে শ্যাম্পুতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যের অংশ মাথাতেই থেকে যায় এবং চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শ্যাম্পু
ছাড়া ও কন্ডিশনার ব্যাবহারের পরে ও পর্যাপ্ত পানির সাহায্যে ভালো করে ধুয়ে ফেলা উচিত।
আর এছাড়াও চুল পরা রোধে পেয়াজের রস ভিষণ উপকারী তবে পেয়াজের রসের সাথে মধু মিসিয়ে নিলে উপকার বেশি পাওয়া যার । এ টি মাথার তক সহ পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে আর তারপর শ্যাম্পু করে নিলেই হবে।
এটা সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার করলে চুল পরা কমবে।
২)আগা ফাটাঃ বিভিন্ন কারনে চুলের আগা ফেটে যায় এবং চুল দূর্বল হয়ে যায়।যার ফলে চুল তাড়াতাড়ি ঝরে পরে। তাই চুলের আগা ফাটা রক্ষায় জন্য প্রকৃতিক উপাদান ব্যাবহার করার ফলে উপকার পাওয়া যায়।
তার জন্য সবার আগে রাতে ঘুমানোর আগে চুল বেধে ঘুমান উচিত। এ ছাড়া ও নিয়মিত তেল ব্যাবহারের মাধ্যমে চুলের আগা ফাটা রোধ সম্ভাব। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন তেল ব্যাবহার করে যেতে পারে নারকেল তেল, জলপাই তেল, বাদাম তেল ইত্যাদি।
আর এছাড়া ও আমলখীর রস ঘৃতকুমারী চুল কে মজবুত করে। এ দুটি চুলে মিসিয়ে লাগাতে হবে ১ঘন্টা তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) চুলের রুক্ষতাঃ আমাদের চুল অনেক কারনের রুক্ষ হয়ে যায়। এতে চুল প্রানহীন দেখায় এবং দেখতে বাজে লাগে।চুলের রুক্ষতা কমাতে টকদই এবং মধু খুবই উপকারী এতে চুলের রুক্ষতা কমবে এবং চুল পুষ্টি পাবে।এ ছাড়া ও মেথী এবং ঘৃতকুমারী এর মিসিয়ে চুলে লাগালে চুলের রুক্ষতা দূর হবে।এছাড়াও ত্রিফলা ও চুল ভালো রাখতে যাহায্য করে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এ গুলো ব্যবহার করতে হবে। এটা দিয়ে চুল হয়ে উঠবে নরম, কোমল, রেশমি।
৪)চুলে খুসকিঃ খুসকি একটা এখন সবার একটা অন্যতম সমস্যা। এর ফলে অনেক সময় চুলর ফলে চুল পড়ে যায়।
তাই খুসকি প্রতিরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর জন্য লেবু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবুর সাথে টক দই এবং মেথি মিসিয়ে মাথার তকে ১ থেকে ২ ঘন্টা লাগিয়ে রাখতে হবে তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছু দিন করলে খুসকি কমবে।এ ছাড়া ও মাথার তকে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।
৫)চুলের ভেঙে যাওয়াঃ অনেক সময় দেখা যায় চুলের বিভিন্ন অংশ থেকে ভেঙে যায় যার ফলে চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হয় না। এর থেকে মুক্তি পেতে একটা ডিম, মেথি এবং মধু মিসিয়ে লাগাতে হবে ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে চুলের ভঙ্গুর ভাব টা কমবে। এ ছাড়া ও নারকেলের দুধ এবং মেথি চুলে পুষ্টি যোগায় এবং ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
এই ছিল আজ আমার চুলের যত্নের প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে কিছু টিপস আশা করি এগুলো ব্যাবহারের মাধ্যমে সবাই উপকার পাবেন।