আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সাথেই ঠোঁট ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার কথা বলার ধরণ, সিস্টেম সব আপনার ঠোঁটের জন্যই বোঝা যায়, যে আপনার কথা বলার ধরন কতটুকু সুন্দর বা কতটুকু বাজে।কিন্তু অনেক কারণে দেখা যায় অনেকের ঠোঁটে কালচে ছাপ অথবা কালচে দাগের জন্য তার ঠোঁট দেখতে অত্যন্ত বাজে লাগে। যার কারণে সে কারো সাথে কথা বললে তার নিজেরও একটা লজ্জা বোধ হতে পারে।
আজকের বিষয়টা আমরা জানব কেন এই ঠোঁটের দাগ হয়, কিভাবে নতুন পদ্ধতিতে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটি দূর করা সম্ভব।
ঠোঁটের বিভিন্ন প্রকার দাগ কেন হয়?
১. সূর্যের আলো অথবা রোদ: ঠোঁটে বিভিন্ন প্রকার কালো দাগের কারণ হতে পারে সূর্যের প্রখর আলো অথবা রশ্মি। সূর্যের আলো আমাদের ঠোঁটে লাগার কারণে আমাদের ঠোঁটে কালো দাগ পড়তে পারে। এটা আমাদের ঠোঁটের চামড়া গুলো কালো কালো ভাবে মুড়িয়ে যায়।
২. ধূমপানের কারণে: আমরা অনেকেই জানি যে ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই না, ঠোঁট কালো অথবা ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার প্রধান কারণ হলো ধূমপান।
অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে আমাদের ঠোঁটে কালো দাগ পড়ে। এবং ঠোঁটের চামড়া কালো কালো হয়ে উঠে যায়।
৩. বিভিন্ন কোম্পানির লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহার করা: মেয়েরা সবাই লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকে কমবেশি।কিন্তু হয়তো অনেকে জানেনা যে ঠোঁটে কালো দাগ করার পিছনে লিপস্টিক অনেক সময় কারণ হয়ে থাকে।
৪. জীবাণুযুক্ত মাক্স: আমরা বিভিন্ন রোগ জীবাণু এবং ধুলাবালি থেকে বাঁচার জন্য মাক্স ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সেই মাক্স এ যদি ধুলাবালি অথবা ময়লা থেকে থাকে শ্বেতী ঠোঁটে লাগলে ও ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকারক।
৫. যত্নের অভাব: আমরা অনেকেই ঠোঁটের তেমন ভালোভাবে যত্ন নেই না। কারণ আমরা মনে করি যত্ন নিলেও অথবা না নিলেও এতে ঠোঁটের কিছু হবে না। কিন্তু সত্য ভাবে বলতে গেলে ঠোঁটের যত্ন না নেওয়ার কারণে ঠোঁটে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। যা পড়ে আপনাকে অনেক ভোগাতে পারে।
বিশেষভাবে এসব কারণেই ঠোঁটের বিভিন্ন প্রকার দাগ হয়ে থাকে। এখন আসা যাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়:
১. আমাদের যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে সূর্যের আলোকে এড়িয়ে চলা। অতিরিক্ত রোদ থেকে আমাদের ঠোঁটে বিভিন্ন প্রকার দাগ হয়। তাই আমাদের এটি কে এড়িয়ে চলা উচিত।
২. অতিরিক্ত ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপানের মারাত্মক পদার্থের কারণে ঠোঁটের অনেক সমস্যা হয়।
৩. প্রতিদিন সকালে ব্রাশ করার সময়, ছোট হালকা ভাবে প্রলেপ দিতে হবে, ঠিক একইভাবে রাতে ভাত খাওয়ার পর ব্রাশ করার সময় ফোটে প্রলেপ করতে হবে।
৪. অ্যালোভেরা জেল এবং তার সাথে মধু মিশিয়ে পেস্ট এর মাধ্যমে ঠোঁটে প্রলেপ করলে ঠোঁটকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, তার সাথে বিভিন্ন প্রকার কালো দাগ দূর হয়।
৫. ঠোঁটকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং এটির ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।
৬. এক চামচ লেবু এখন তার সাথে চিনি মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্টের মতো করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট গোলাপি হয় এবং তার সাথে কালো দাগ দূর হয়।
৭. লিপস্টিক ব্যবহার করলেও, বাড়িতে এসে সেটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এই ছিল আজকের এপিসোড। এভাবে আপনি আপনার ঠোটের কালো দাগ দূর করতে পারেন খুব সহজেই।আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।