‘যে জীবনে সবুজ পাহাড় দেখেনি,তার জন্মের সার্থকতা এখনও হয়নি’
সবুজ পাহাড় আমায় বারবার ডাকে। দূরের ওই নীল আকাশ তাকিয়ে থাকে এক গুচ্ছ মেঘ নিয়ে আমার অপেক্ষায়। আমাকে সবুজ পাহাড়ের ভিতর হারিয়ে নিয়ে যাবে বলে।
ভাবছি, একদিন সবুজ পাহাড়ের ভিতর হারিয়ে যাবো, ওই দুর পাহারের চুড়ায়। যেখানে কালো মেঘ অঝোরে কাঁদবে পাহাড়ের ঝরনা হয়ে।
পাহাড়ের লতা ফুলের গন্ধ শুঁকে এই যান্ত্রিক জীবনকে ছুটি দিয়ে আবার জীবনটাকে নতুন করে সাজাবো সবুজ পাহাড়ের আদিবাসী জনপদে। সবুজ পাহাড়ে কিনারে কিনারে বাঁশের ঘর বানাবো। রাতের অন্ধকারে একাকীত্ব যখন তাড়া করে বেড়াবে তখন জোনাকিরা ছুটে আসবে আমার পাহারাদার হয়ে। আঁকা বাঁকা মেঠো পথে ধরে চলতে চলতে ভুলে যাব জীবনের সমস্ত যন্ত্রণা। পাহাড়ের চূড়ায় মাচাং ঘরের উপর বসে রাতের জোছনা দেখবো।
মনের যত দুঃখ কষ্ট সবুজ পাহাড়কে খুলে বলবো। পাহাড় আমায় দুঃখ ভুলিয়ে দেবে।
পাহাড়ের মাঝে মাঝে সাদা মেঘেরা ঢেউ খেলবে। সারাটা দিন ঝিরঝির বাতাসে শুয়ে যাবে হৃদয়। যখন রাত নামবে পাহাড়ের কোলে মেঘেরাও ঘুমিয়ে পড়বে,নীরব পাহাড়ে ভেসে আসবে কলাপাতার ঝড়ঝড় শব্দ। সন্ধ্যা হলেই ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকবে। কিছুটা নিরবতা,খানিকটা অন্ধকারে চাঁদ-তারা, মেঘের সঙ্গে মায়াবী রাতটা কাটিয়ে যাবে সবুজ পাহাড়ের কোলে।
দূর পাহাড়ের প্রতিধ্বনি আবার কানে ফিরে আসবে। রাতের অন্ধকারে কুটুম পেঁচা থাকবে আমার ঘুম ভাঙাতে। পৃথিবীর সমস্ত নিরবতা পাহাড়ে এসে জমা হয়। এই যান্ত্রিক জীবনে জমে থাকা ভারি নিঃশ্বাস প্রাকৃতিক কোলে ছেড়ে দিলে মনে প্রশান্তি আসে।