আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়। বন্ধুত্ব নিয়ে ফেসবুক ক্যাপশন –
বন্ধুত্ত আমাদের হ্রদয়ের সবচেয়ে কাছের একটি সম্পর্কের নাম। আত্তার একটি বাধনের নাম বন্ধুত্ত। মানুষের জীবনে এমন অনেক কথা থাকে যা সহজে পরিবারের মানুষের সাথে বলতে পারেনা কিন্তু বন্ধুর সাথে ঠিকই বলতে পারে। তাই বন্ধুত্ত হলো হ্রদয়ের গভীরে বিদ্যমান এক সম্পর্কের নাম। রক্তের সম্পর্ক না হলেও আত্নার এবং সেই সাথে মনের সম্পর্ক ঠিকই থাকে বন্ধুত্তে।
বন্ধুত্ত নিয়ে তাই সকলের উৎসাহ কিংবা আগ্রহের কমতি নেই। একজন প্রকৃত বন্ধু বিপদে আপদে সকলের পাশে হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রকৃত বন্ধু পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। বন্ধুত্ত নিয়ে কবি, সাহিত্যিক কিংবা গুনিজন অনেক ক্যাপশন তুলে ধরেছেন। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ক্যাপশন তুলে ধরা হলোঃ
বন্ধুত্ব নিয়ে ফেসবুক ক্যাপশন
১.একজন প্রকৃত বন্ধু যেকোনো ক্ষেত্রে আপনাকে পথপ্রদর্শক হয়ে কাজ করবে।
২.প্রকৃতির বিদ্যমান এক সৃষ্টির নাম বন্ধুত্ব
৩.অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা উত্তম।
৪.এক আত্তার বাধনের নাম বন্ধুত্ত।
৫.বন্ধুত্ব একমাত্র বন্ধন যা যেকোনো কাজে আপনাকে সাহস প্রদান করে।
৬. একজন ভালো বন্ধু পুরো একটি লাইব্রেরির সমান। ”
৭. কোনো বন্ধুকে আঘাত না করে তার পাশে থাকা উত্তম।
৮.বন্ধুত্বের বাঁধন একবার ছিঁড়ে গেলে পৃথিবীর সমস্ত সুতো দিয়েও পুনরায় জোড়া লাগানো করা যায় না।
৯.বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব পাওয়া পুরো ভাগ্যের ব্যাপার। যা হয়ে থাকে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো।
১০.বিপদের সময় আমরা শত্রুদের বাক্য মনে রাখবো না , কিন্তু বন্ধুর সাহায্যহীনতা মনে রাখবো।
১১.আমরা যার কাছ থেকে বন্ধুর কাছ থেকে মমতা , সমবেদনা, সাহায্য পাই সেই হলো আমাদের বন্ধু।
১৩.যাদের জীবনে প্রকৃত বন্ধু নেই তাদের মতো দুর্ভাগ্যবান আর পৃথিবীতে কেউ নেই।
১৪.বন্ধুত্ত এমন এক সম্পর্ক যা কখনো পুরাতন হয় না, মরিচা ধরে না
১৫.দুটি দেহে একটি আত্মার মধ্যেই বিদ্যমান সম্পর্কের নাম হলো বন্ধুত্ত।
বন্ধুত্ব নিয়ে সেরা কয়েকটি ক্যাপশন / বন্ধুত্ব নিয়ে ফেসবুক ক্যাপশন
১. বন্ধুত্ব – শব্দটা তিন অক্ষরের..
তিনটা শব্দ যেন তিন দুনিয়ার সংমিশ্রণ..
প্রথম দুনিয়া বেড়ে ওঠা শেখায়, দ্বিতীয়টা গর্জে ওঠা, আর সবার শেষেরটা বেঁচে থাকা….
২. মন ভোলানো এই দুনিয়ার যত দুনিয়াবী সৌন্দর্য..
বন্ধুত্ব ছাড়া বড্ড মলিন…
আজ বন্ধু বলে তোমায় ডাকছি…
সে সৌন্দর্য আমি তোমার মাধ্যমে দেখতে চাই…
৩. যদি বলো তুমি একটি গাছ..
আমি তার পাতা হতে চাইনা…
যদি বলো তুমি একটা নদী…
আমি তার স্রোত হতে চাইনা…
কারণ, তাদের কেউই চিরকাল টিকেনা..
বলতে পারো, আমি তোমার বন্ধু হতে চাই….
৪. মনে পড়ে সেই হাতিম তাইয়ের কথা?
হুবো নামের এক বন্ধু ছিলো তার…
দেশ জয়ের ইতিহাসে আজ হাতিমের গল্প লেখা..
আর হুবো’র গল্প আছে হাতিমের মনে মাখা…
তুমি হচ্ছো আমার সেই হাতিম তাই…
জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাও বন্ধু.. পাশে আছি হুবো হয়ে।
৫. জীবনের ডাইরীতে দেখো কত শত পাতা..
সেসব পাতায় জুড়ে আছে কত আবেগ, আনন্দ..
বন্ধু ছাড়া কোনটাই যেন পূর্ণতা পাইনি আমার…
তাই পাশে চাই তোমায় শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত..
৬. তোমার জীবনে উন্নতির সিঁড়িটা তোমার বাবা-মা’ই তৈরি করেন..
তোমার শক্তি যত, তুমি উঠো তত…
আর যখনই তোমার সিঁড়ি ভেঙ্গে যায়,
আমায় ডেকো;
খুব ভালো পেরেক মারতে জানি…
সবসময়ই পাশে থাকতে চাই তোমার…
হয়তো সে চাওয়াটাই আমার তোমার বন্ধুত্ব…
৭. মানুষ বড় হলে তার আয়ু কমে যায়..
ব্যবসায়ে ক্ষতি হলে টাকা কমে যায়..
ঝগড়ার কারণে স্ত্রী চলে যায়..
ভুল হয়ে গেলে তার বিশ্বাস কমে যায়..
একমাত্র একটা জিনিসই কমেনা..
উপরন্তু সে বাড়ে তো বাড়তেই থাকে..
জানো? সেটা কি?
সেটা হচ্ছে আমার আর তোমার বন্ধুত্ব…
৮. প্রেম আর ভালোবাসাকে একই মনে করোনা..
নাটকীয়তা আর বন্ধুত্ব কখনোই এক হতে পারেনা।
প্রেম হচ্ছে নাটকীয়তা; আর ভালোবাসাটা শ্রেফ বন্ধুত্ব থেকেই আসে…
৯. বন্ধুত্বটা আসলে বয়সের ধার ধারেনা..
এটির কোন বাউন্ডারিও নেই…
ছোট বলো, বুড়ো বলো, কেউই শতভাগ পরিপূর্ণ নয়…
তবে তার যদি একটা ভালো ও বিশ্বস্ত বন্ধু থাকে,
তাহলে তার জীবনের জন্য সেটা পরিপূরক…
১০. মুনাফেকি যদি হয় বেঈমানের লক্ষণ,
তাহলে বন্ধুত্বটা অবশ্যই ঈমানদারী।
যেকোন বন্ধু যেকোন ভাবে তো তৈরি হয়েই যায়..
কিন্তু সেটা বজায় রাখাটা খাঁটি ইমানদারের লক্ষ্মণ
বন্ধুত্ব নিয়ে ক্যাপশন/ বন্ধুত্ব নিয়ে ফেসবুক ক্যাপশন
বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যেখানে সব নিয়মকানুন, বিশ্বাস, নির্ভরতা, যাবতীয় সম্পর্কের বেশি একটি মিলনস্থল। বন্ধুর কখনো পরিসীমা থাকতে নেই। একজন বন্ধুও হতে পারে শিক্ষক,ভাই কিংবা আপনার কোন আপনজন কখনো বা সকল দুষ্টুমি একমাত্র সঙ্গী।
বন্ধু সব কিছুর উর্ধ্বে। একজন প্রকৃত বন্ধু কে কখনো অর্থ দিয়ে সম্পত্তি দিয়ে কেনা যায় না। জীবন চলার পথে একজন প্রকৃত বন্ধু কখনো জাতিগত, ধর্মগত কিংবা ছোট বড় ভেদাভেদ থাকে না।
বন্ধুত্ব আবার গায়ের জোরে হয় না বন্ধুত্ব হতে হলে অবশ্যই ভালো গুণ থাকা দরকার। প্রকৃত বন্ধু চিরদিনের জন্য হয়ে থাকে। হতে পারে দুজনে কখনো আলাদা হয়ে গিয়েছেন, কাজের ব্যস্ততায় আলাদা শহরে জীবনযাপন করতেছেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কর্মব্যস্ততায় দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না, বা পড়ালেখার জন্য আলাদা হয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে কিন্তু এসব কিছু তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে একজন ভালো বন্ধু কখনো হারিয়ে যায় না। কাছে কিংবা দূরে হও সব সময় আপনার শুভ কাজের জন্য পাশে থাকবে।
বন্ধুত্বের মাঝে কখনো মান-অভিমান থাকতে নেই। রাগ অভিমান করে দুজন দুজনকে ভুলে গেলে সেটা কখনো প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়। যেকোনো প্রয়োজনে যে কোন উপায় একে অপরের সাথে আদান প্রদানের মাধ্যমে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হয়।
কথায় কথায় বলা হয়, ভালবাসার শক্তি হলো বিশ্বাস। সেজন্য ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে হলে বন্ধুত্বের বিশ্বাস টিকিয়ে রাখা আবশ্যক। একজন ভালো বন্ধু সব সময় আরেকজন বন্ধুর ভালো চায়, ভালো কিছু আশা করে। যত বিপদ আসুক সে কখনো বন্ধুর ক্ষতি হোক এমন কাজটি করতে চান না।
বন্ধু দিবসের স্ট্যাটাস | বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার গল্প
বন্ধু দিবসের স্ট্যাটাস নিয়ে একটি ছোট্ট গল্প
ছেলে: কিরে কি করছিস?
মেয়ে: এইতো বসে আছি, আর তুই?
ছেলে: এই একজনের কথা ভাবছি?
মেয়ে: কার কথা ভাবছিস বল একটু।
ছেলে: ভাবতেছি একজনের কথা কিন্তু বলা যাবে না। আই এম সরি!
মেয়ে: আমি তোর এত ভালো বন্ধু হয়েও জানতে পারবো না, যে তুই কার কথা ভাবছিস?
ছেলে: নারে কিছু কিছু কথা বলা খুব কঠিন হয়।
মেয়ে: ও তাই? বল বল কোন মেয়ের কথা ভাবছিস কাউকে বলব না।
ছেলে: ভাবছি একটা মেয়ের কথা ঠিকই, কিন্তু তোকে হয়তো বলতে পারব না।
মেয়ে: ঠিক আছে তোর সাথে আর কথা বলবো না।
তারপর পাঁচ মিনিট পরে
ছেলে: কি রে রাগ কমলো?
মেয়ে: এসএমএস আসার 2 মিনিট পর উত্তর দিল, হ্যাঁ বল!
ছেলে: এখনো রাগ করে আছিস?
মেয়ে: না বল।
ছেলে: এত রাগ করে আছিস, তো আগে রাগ কমা তারপর বলব.. কার কথা ভাবছি।
মেয়ে: রাগ কমিয়েছি এবার তো বল।
ছেলে: জানিস অনেকদিন ধরে একটা মেয়েকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছি, কিন্তু কি বলতো তাকে বলার ক্ষমতা আমার নেই, অনেকবার ভেবেছি বলব, কিন্তু সেই সাহস হয়ে উঠেনি।
মেয়ে: আজ জানলাম তুই এত ভীতু।
ছেলে: কখনো কখনো মন না চাইলেও ভীতু থাকতে হয়।
মেয়ে: তাহলে একটু নামটা বল যে সেই সৌভাগ্যবতী কে?
ছেলে: Sorry রে, এই কথাটা হয়তো বলতে পারব না।
মেয়ে: ঠিক আছে নাম বলতে হবে না, তার সম্পর্কে কিছু তো বল, যাতে আমি সেই সৌভাগ্যবতী কে চিনতে পারি।
ছেলে: ওকে বলছি তার সম্পর্কে- গোলাপি ঠোঁট তার উপর একটা ছোট্ট তিল, তানা তানা চোখ তার মধ্যে চাঁদের মত মনি, হাসলে যেন পৃথিবীর সব সুখ চলে আসে আমার মনে, এক কথায় রাজকন্যা।
মেয়ে: বাবা এইরকম রাজকন্যাকে পেলি কোথা থেকে এই পৃথিবীতে?
ছেলে: পেয়েছি অনেক কষ্টে, কিন্তু তাও আমি তাকে আমার মনের কথা বলতে পারছি না।
মেয়ে: একটু রেগে গিয়ে। আমি তো এই রাজকন্যা কে চিনতে পারলাম না, এখন তোকে ওর নাম বলতেই হবে।
ছেলে: আমি বারবার বলছি আমি এটা পারব না।
মেয়ে: দেখ তুই আমাকে তোর সব থেকে ভালো বন্ধু মনে করিস তো?
ছেলেঃ হ্যাঁ সেটা আবার বলতে হবে।
মেয়ে: ঠিক আছে, আমার দিব্যি ওর নাম বল।
ছেলে: ভালো ভালো.. তুই যেমন দিব্যি দিলি, আমি তোকে তেমন একটা দিব্যি দেবো রাখতে হবে কিন্তু।
মেয়ে: হ্যাঁ বল, রাখবো। প্রমিস!
ছেলে: ঠিক আছে, আমার দিব্যি আমাদের বন্ধুত্ব তা যেন কখনো নষ্ট না হয় যে কোন অবস্থায়।
মেয়ে: ওকে প্রমিস।
ছেলে: তোর মনে আছে আমাদের ক্লাস টেন এ বাংলাদেশের 5 জন মেয়ে পড়তো?
মেয়ে: হ্যাঁ মনে আছে,
ছেলে: ওই পাঁচজনের মধ্য থেকে একজনকে আমি ভালোবাসি।
মেয়ে: একটু পরিষ্কার করে বলতো কি নাম? আমি আবার সহ্য করতে পারতেছি না।
ছেলে: তুমি।
মেয়ে: এসএমএস করা বন্ধ করে দিল।
কিন্তু আবার 30 মিনিট পরে
মেয়ে: কিরে তুই এবার থেকে আমায় তুই বলে ডাকবে না তুমি বলবে।
ছেলে: খুব খুশী হয়ে-আই লাভ ইউ। আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি।
মেয়ে: আমিও।
[সমাপ্ত]
ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো আমাদের সামনে। এবং এ ধরনের আরও ক্যাপশন পেতে এখানে ক্লিক করো আর গ্রাথোর ফেসবুক পেজে একটি লাইক দাও।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন