ঢাকা, ২ নভেম্বর – বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকায় শুক্রবার ঢাকার মিরপুরে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংস এবং গণহত্যার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবি জানিয়ে এই মিছিলটি আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম আহমেদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভে শতাধিক ছাত্রদল কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলের রূপরেখা
মিছিলটি শুরু হয় বিকেলে মিরপুরের টোলারবাগ থেকে, যা মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে আওয়াজ তোলেন।
আকরাম আহমেদের বক্তব্য
মিছিল শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আকরাম আহমেদ বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছে বর্তমান সরকার। তার মতে, শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কারণে বহু বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীকে গুম, খুন এবং হত্যার শিকার হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, তাদেরকে চেপে ধরে শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা। দেশের হাজার হাজার ছাত্র ও জনগণকে হত্যা করা হয়েছে, এবং অনেকে এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।”
বিচারের দাবি
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় আনা উচিত। আকরাম আহমেদ এসময় বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচার করা প্রয়োজন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনমনে ক্ষোভ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করতে পারে। ছাত্রদলের এই আন্দোলন সম্ভবত একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে, যা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।