ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি এবং সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম এইচ রাকিব সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হামলার অভিযোগ ওঠার পর উল্লিখিত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিবি জানিয়েছে, খাদিজা আক্তার ঊর্মির বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে তার নাম উল্লেখ রয়েছে। এই মামলার পর গত রোববার শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২২০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অন্যতম আসামী হিসেবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির সায়ন এবং সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ছাত্রলীগের মধ্যে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দেশজুড়ে গণমাধ্যমের প্রধান খবরের একটি হয়ে উঠেছে, এবং এর সাথে যুক্ত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার পর ছাত্রলীগের অঙ্গীকার এবং কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ছাত্রলীগের নেতারা যেভাবে এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন, তা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এদিকে, এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে উদ্বেগ ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, বিশেষ করে যখন তারা তাদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। গতকাল সন্ধ্যায় সংঘটিত এই ঘটনাগুলো দেশের রাজনৈতিক তরঙ্গকে আরো জটিল করে তুলেছে, এবং এটি ছাত্ররাজনীতির জন্য একটি নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে নতুন করে ভাবনার আহ্বান জানাচ্ছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা শিক্ষার পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপজ্জনক।
এই পরিস্থিতির কারণে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের ওপর চাপ বাড়ছে, এবং তাদের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সোচ্চার রয়েছে, এবং তারা আশঙ্কা করছে যে এই ধরনের হামলা তাদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ন্যায় ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে উঠছে, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিভাবে পরিবর্তিত হবে তা দেখার জন্য আগ্রহী করবে।