বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ১৬ বছরের এক কঠিন সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মানুষ ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ও বিচার প্রাপ্তির মতো মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত ছিল। দানবীয় শাসনকালে এই নিপীড়ন ও শোষণের পরিস্থিতিতে কারো বিচার পাওয়ার সাহস ছিল না, কারণ সর্বত্র ছিল অপশাসনের প্রতাপ।
রোববার ফেনীতে আদালতে হাজিরা দিতে এসে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তার মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে অশান্তির সৃষ্টি করায় মানুষ বিচার প্রার্থনা করতেও সাহস করেনি।
বিপদের মুখে নিজের জন্মস্থানেও নিরাপত্তার অভাব
দাগনভূঞার ফাজিলপুরে নিজের পৈতৃক নিবাসে এক সভায় আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “এমনকি আমার নিজ এলাকায়ও নিরাপত্তার অভাব ছিল। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতেও বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমার অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের পাশেই গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, আমি দাগনভূঞার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিল প্রতিষ্ঠা করলেও সেটির উপরও হামলা করা হয়।”
যুগান্তকারী পরিবর্তন ও জনগণের প্রত্যাশা
দীর্ঘ ১৬ বছরের অস্থিরতার পর দেশবাসীর আন্দোলন ও ছাত্র সমাজের দৃঢ়তায় শাসনের পরিবর্তন দেখা যায়। মানুষের আত্মত্যাগ, শহীদ হওয়া, আহত ও নির্যাতিত হওয়ার মাধ্যমে দেশ এই শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে মনে করেন মিন্টু। ১৬ বছরের শাসনে সাধারণ মানুষকে মোকাবিলা করতে হয়েছে গায়েবি মামলাসহ নানা হয়রানি; ১ লাখ ৫২ হাজার মামলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ ৬২ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়।
মিন্টু আরও বলেন, “এসময় যারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এই শহীদদের ত্যাগ জাতিকে চিরকাল স্মরণ করতে হবে।”
টেকসই সংস্কারের দাবি
বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন দেশ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে চলছে এবং এই সময়ে টেকসই সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কারের পর দ্রুত ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।