বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রী আলিয়া ভাট তার ১২ বছরের অভিনয়জীবনে বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু বক্স অফিসের তারকা নন, একজন বহুমুখী শিল্পীও। আলিয়ার প্রতিটি ছবিতে নতুনত্বের ছোঁয়া স্পষ্ট। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘জিগরা’-তেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি, আলিয়ার অভিনয় মুগ্ধ করেছে সমালোচকদের। বসন বালা পরিচালিত এই সিনেমায় তিনি ‘সত্যা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা দাপুটে ও সংগ্রামী নারীর প্রতীক। সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো তাঁকে পুরোপুরি অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা গেছে, যা দর্শকের জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা।
এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন, “প্রতিটি ছবিতে আমার চেষ্টা থাকে নতুন কিছু করার। আমি চাই নিজের স্বচ্ছন্দের দুনিয়া থেকে বের হয়ে নিজেকে নতুন চ্যালেঞ্জ জানাতে। ‘জিগরা’ সিনেমায় সত্যা চরিত্রটা এমনই এক চরিত্র, যে তার ভাইকে রক্ষা করতে যেকোনো সীমা অতিক্রম করতে প্রস্তুত। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো করতে গিয়ে শারীরিকভাবে যেমন কঠিন ছিল, তেমনি মজারও।”
আলিয়ার অভিনয় জীবনে প্রতিটি চরিত্রই তাকে নতুনভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে। ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি’-তে গাঙ্গুবাইয়ের গভীরতা ও শক্তিমত্তা, ‘গালি বয়’-এ তার পরিবেশের সঙ্গে মিশে যাওয়া, কিংবা ‘ডার্লিংস’-এ বদরুন্নিসার প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা—প্রতিটি চরিত্রেই আলিয়ার অভিনয় দক্ষতার ভিন্ন রূপ দেখা গেছে। তাঁর মতে, “আমার অভিনীত কোনো চরিত্রের মধ্যে মিল নেই, এবং আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এই ধারাটি বজায় রাখতে পারব।”
বর্তমানে আলিয়া ব্যস্ত তাঁর পরবর্তী ছবি ‘আলফা’-র শুটিং নিয়ে। যশ রাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্সে এটি প্রথম নারী মুখ্য চরিত্রের ছবি, যেখানে আলিয়ার সঙ্গে আছেন শর্বরী বাগ। এই ছবিতে দুই অভিনেত্রীকে একসঙ্গে চমৎকার অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যাবে। যশ রাজ ফিল্মসের এই প্রকল্পের মাধ্যমে আলিয়া হচ্ছেন তাদের স্পাই ইউনিভার্সের প্রথম নারী স্পাইপ্রধান।
আলিয়া ভাটের এই নিত্যনতুন চরিত্রের খোঁজ এবং নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানানো তাঁকে একজন সত্যিকারের অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অভিনয়ের প্রতি তাঁর এই অঙ্গীকারই তাঁকে বলিউডের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।