সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনের লক্ষ্যে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলো নির্দিষ্ট সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে। সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের মাধ্যমে কোনো সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি না করার বিষয়েও তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বুধবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন দলের নেতারা তাদের মতামত ব্যক্ত করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, জনগণের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, তবে এটি সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতর থেকেই করতে হবে।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রথমে গণফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা। গণফোরামের চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টু, কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরীসহ দলের অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণফোরামের নেতারা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতার জন্য সামগ্রিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
এরপর গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আহ্বায়ক মিয়া মসিউজ্জামান ও সদস্যসচিব ফারুক হাসানসহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয় এবং তারা সর্বসম্মতভাবে দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বিকেল ও সন্ধ্যার বৈঠক শেষে, এনডিএমের নেতাদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব মোমিনুল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এনডিএম নেতারা এই বৈঠকে তাদের দলের অবস্থান তুলে ধরেন এবং সাংবিধানিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই বৈঠকগুলোতে সকল দলের নেতৃবৃন্দ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং জনগণের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।