বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান, যার স্টারডম পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তিনি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমন একটি বক্তব্য দেন যা অনেকের জন্য অত্যন্ত চমকপ্রদ। কিং খান বলেন, তার এই সাফল্য, এই জনপ্রিয়তা তার প্রাপ্য নয়, বরং এটি তার চারপাশের মানুষদের অবদানে এসেছে। দুবাইয়ে এক অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান তার জীবনদর্শন শেয়ার করতে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এবং তার কাছে সাফল্য ছিল অতি দূরের একটি স্বপ্ন।
শাহরুখ আরও বলেন, “ছোটবেলায় আমার কাছে ‘ফেমাস’ শব্দটা ছিল ঠিক যেন চাঁদ ধরার মতো। আজ যেখানে আমি আছি, তা একমাত্র আমার সাফল্যের কারণে নয়। বরং এটি বহু মানুষের সাহায্য, তাদের সমর্থনের ফলে সম্ভব হয়েছে।” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন যে, সাফল্য কখনো এককভাবে অর্জিত হয় না, এটি একটি সমষ্টিগত প্রচেষ্টা।
শাহরুখ খান তার অতীতের ব্যর্থতাগুলোও মেনে নিয়েছেন। তিনি বললেন, “যখন একের পর এক ছবি ফ্লপ করছিল, তখন আমি বাথরুমে বসে কাঁদতাম। প্রথমে মনে হতো পৃথিবীর সবাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু আসলে এটি ভুল ধারণা ছিল।” কিং খান জানালেন যে, তাকে তার ভুলগুলো মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে শিখতে হয়েছিল, এবং যখন তিনি নিজের ভুলগুলি ঠিক করেছেন, তখনই তিনি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে পেরেছেন।
এছাড়া, শাহরুখ তার জীবনে ব্যর্থতার প্রতিফলনও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছিলেন, “যখন ব্যর্থতা আসে, তখন নিজের কাজ বা অফিসকে দোষ না দিয়ে ইকোসিস্টেমকে বুঝতে হবে। কোথায় ভুল হচ্ছে, তা শনাক্ত করলেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।” তার মতে, ব্যর্থতার মাঝে আত্মবিশ্বাস হারানো ঠিক নয়; বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও ভালোভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
এভাবে, শাহরুখ খানের জীবনদর্শন আমাদের শেখায় যে সাফল্য এবং ব্যর্থতা উভয়ই জীবনের অঙ্গ। ব্যর্থতা কখনোই স্থায়ী নয়, এবং সাফল্য কেবল নিজের পরিশ্রম ও দৃঢ়চেতনার ফল নয়, এটি চারপাশের মানুষদের অবদানে গড়া।