» প্রশ্ন ৮২, কবির চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে গ্রীন লাইন। বাসে করে রওয়ানা দিল। রওয়ানা দেয়ার পূর্বে আসর ও মাগরিবের নামায একত্রে আদায় করে ফেলল। তা দেখে তার বড় ভাই বশির বলল , ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নামায পড়লে তা আলায়। হবে না। কারণ নির্ধারিত সময়ে নামায পড়াকে আল্লাহ তায়ালা। মুমিনদের ওপর ফরয করেছেন। এরপর তিনি নিচের আয়জাংশটি তেলাওয়াত করেন,
إن الصلوة كانت على المؤمنين كتابا موقوتا ( النساء : ۱۰۳ )
(ক). নামায কখন ফরয হয়েছে?
(খ).উদ্দীপকে বর্ণিত আয়াতাংশটির ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ কর।
(গ). ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নামায পড়ার মাসয়ালাটি তােমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা কর।
(ঘ). বশিরের বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? দলিলসহ বিশ্লেষণ কর।
::::::::::::::: ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর::::::::::::::
(ক). নবুয়তের দশম বছরে মিরাজের রাতে নামায ফরয হয়েছে।
(খ). উদ্দীপকে বর্ণিত আয়াতটিতে নির্ধারিত সময়ে নামায পড়া ফরয এ বিষয়ে আলােকপাত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় নামায নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করাকে মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে। এ আয়াতাংশ দ্বারা প্রমাণিত যে, ওয়াক্তমতাে নামায পড়া ফরয। কাজেই এক ওয়াক্তের নামায অন্য ওয়াক্তে পড়া যাবে না। কেননা প্রত্যেক নামাযের জন্য শরিয়তে নির্ধারিত সময় রয়েছে। সে সময়ই তা আদায় করা ফরয।
(গ). ওয়াক্তমতাে নামায পড়া ফরয।
এক ওয়াক্তের নামায অন্য ওয়াক্তে পড়া যাবে না। কেননা প্রত্যেক নামাযের জন্য শরিয়তে নির্ধারিত সময় রয়েছে। সে সময়ই তা আদায় করা ফরয। ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নামায পড়া জায়েয নেই।
কেননা এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন .
إن الصلوة كانت على المؤمنين كتابا موقوتا
অর্থাৎ , নিশ্চয় নামায মুমিনদের ওপর নির্ধারিত সময়ে আদায় করাকে ফরয করা হয়েছে । ( সূরা নিসা :১০৩)
** তাই এক নামাযকে অন্য নামাযের সময়ে নিয়ে আদায় করা আর নয়। এ সম্পর্কে রাসুল ( স ) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি বিনা ওজরে দু’ওয়াক্ত নামায একত্রে আদায় করল, সে কবীরা গুনাহ করলো।
( তিরমিযি ) তবে হজ্জের সময় আরাফা ও মুযদালিয়ায় দ’ওয়াক্ত নামায একত্রে পড়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া আর কখনো দু’ওয়াক্ত নামায এক ওয়াক্তে পড়া জায়েয নেই। যেমন হাদিসে এসেছে-|||
(ঘ). উদ্দীপকে বর্নিত বশিরের বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
এক ওয়াক্তের নামায অন্য ওয়াক্তে পড়া যাবে না। কেননা প্রত্যেক নামাযের জন্য শরিয়তে নির্ধারিত সময় রয়েছে। সে সময়ই তা আদায় করা ফরয। কবির রাজশাহী রওয়ানা দেয়ার পূর্বে আসর ও মাগরিবের নামায একত্রে আদায় করে ফেলল। তা দেখে তার বড় ভাই বশির বলল, ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নামায পড়লে তা আদায় হবে না। কারণ নির্ধারিত সময়ে নামায পড়াকে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের ওপর ফরয করেছেন। তার বক্তব্য কুরআন। হাদিসসম্মত হওয়ায় আমি তার সাথে ঐকমত্য পােষণ করছি। এ বক্তব্যের মাধ্যমে সালাতের মাসয়ালা মাসায়েলের ব্যাপারে শিল্পের স্বচ্ছ জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় বশিরের বক্তব্যের যথার্থতার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া। যায়। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-
إن الصلوة كانت على المؤمنين كتابا موقوتا
অর্থাৎ , নিশ্চয় নামায মুমিনদের ওপর নির্ধারিত সময়ে আসায় করাকে ফরয করা হয়েছে। ( সুরা নিসা : ১০৩ ) – তাই এক আমাঘকে অন্য নামাযের সময়ে নিয়ে আদায় করা জায়েয নেই। এ সম্পর্কে রাসূল ( স ) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি বিনা ওজরে দু’গুয়াক্ত নামায একত্রে আদায় করল , সে কবীরা গুনাহ করল। ( ভিরমিযী ) তবে হজ্জের সময় আরাফা ও মুযদালিফায় দু’ওয়াক্ত আমাৰ এক্ষত্রে পড়ার বিধান রয়েছে এছাড়া আর কখনােই দু’ওয়াক্ত নামায এক ওয়াক্তে পড়া জায়েয নেই। সুতরাং উল্লিখিত আলােচনার আলােকে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হলাে যে, ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে নামায পড়লে তা আদায় হবে না। অতএব উদ্দীপকে বর্ণিত বশিরের বক্তব্যটি যথার্থ। আর এজন্যই আমি তার বক্তব্যের সাথে একমত পােষণ করি।
*হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন মাক্স পড়ুন এবং নিরাপদ থাকুন সামাজিক ডিসটেন্স বজায় রাখুন।