বন্ধুরা! আজ আমরা যে বিষয় নিয়ে কথা বলব, সে বিষয়টি হচ্ছে ইনকাম। ইনকাম শব্দটি ইংরেজি হলেও বাংলা এর প্রচলন খুব বেশি। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় উপার্জন। আচ্ছা বলুনতো উপার্জন বলতে আমরা কি বুঝি? সাধারণত আমরা উপার্জন বলতে বুঝি, কোন কাজ করে তার বিনিময় পয়সা রোজগার করা। তাইনা? আর পয়সা আমাদের কেন দরকার, সেটা না বললেও চলে! মানুষ পয়সা উপার্জনের জন্য কত কিছুই না করে! তবে একটি কথা মানতে রাজি না হলেও এটাই চিরসত্য যে, মানুষ সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক ভাগ্যে নির্ধারিত অংশের এক কণাও বেশি পাবে না। তাই বলেই কি আমরা ভাগ্যের উপর ভরসা করে চেষ্টা করা বন্ধ করে দিব? কখ্খনো না। আমরা অবশ্যই আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সৎ পন্থায় চেষ্টা করবো। তখন সৃষ্টিকর্তা আমাদের চেষ্টা দেখে আমাদের সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন। তাইনা বন্ধুরা। আজ আমরা একটি ভিন্ন ধরনের ইনকাম নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক!
আচ্ছা বলুন তো! বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে? হয়তো আপনি মনে মনে তার নামটি উচ্চারণ করছেন।যাই হোক! সে যখন মৃত্যুবরণ করবে তখন কি সে তার সম্পদের কোন অংশ তার সাথে নিয়ে যেতে পারবে? তাহলে সারাজীবন কষ্ট করে এত সম্পদ উপার্জন করে তারা কি লাভ হলো? হ্যাঁ,যদি সে কোন তা ভালো কাজে ব্যয় করে যায়, তাহলে অবশ্যই সে সম্পদ কঠিন মুহূর্তে তার কাজে আসবে।
তো বন্ধুরা আমরা আজকে এমন একটি ইনকাম সাইট নিয়ে কথা বলব, যার মাধ্যমে আপনি উভয় জগতে লাভবান হবেন। তাহলে চলুন সাইটটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
এই সাইটটির নাম(?),,,(আপনিই বলুন!)
মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে মানুষ পাঠিয়েছেন এই উদ্দেশ্যে যে, মানুষ পৃথিবীতে তার দেয়া বিধান অনুযায়ী চলবে এবং তার বিধান অনুযায়ী পৃথিবীকে চালাবে। তবেই সে লাভবান হবে। এর উল্টো করলেই পৃথিবীতে সৃষ্টি হবে হাজারো সমস্যা। (বর্তমানে যে আমরা দেখছি) একটু ভাবুন! আজ ছোট্ট একটি ভাইরাসের কাছে পুরো পৃথিবী অচল! এটি যেখান থেকেই অাসুক, আল্লাহর হুকুমেই তো এসেছে।তাইনা?কিন্তু আমারা এ ব্যপারে আল্লাহর কাছে কতটুকু সাহায্যে চেয়েছি? তার উপর কতটুকু ভরসা করেছি? আমি কি এখনো তাওবা করতে পারেছি? মানুষ যদি আল্লাহর গোলামী করে, তবে সমগ্র পৃথিবীর সবকিছু তার গোলামী করতে বাধ্য। তবে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক শুধু দাসত্বের নয,বরং বন্ধুত্বের!
কারণ আল্লাহ কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন:”তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”
আর আল্লাহর এবাদত ছাড়া মানুষের অন্তর কখনো তৃপ্ত হতে পারে না।এক বুজুর্গ আলেম বলেন;”তুমি দুনিয়ার সবকিছু পেয়েছো।কিন্তু আল্লাহকে পাওনি,তাহলে তুমি কিছুই পাওনি।” বন্ধু নিরাশ হওয়ার কিছু নেই! কেননা আল্লাহ পাক কোরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন যে:
“(হে নবী) আপনি বলুন! হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা পাপাচার করে নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আমার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।”
“তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব”
বন্ধু! নিজের সৃষ্টিকর্তার ডাকতে কি কোন লজ্জা আছে?আমি যে কথা আমার প্রিয়জনকেও বলতে পারিনা সেটা তো আমি আমার প্রতিপালক কে বলতে পারি! তিনি তো বড়ই মেহেরবান ও দয়ালু! অবশ্যই তিনি আমার ডাক শুনবেন।
বিশেষ করে আল্লাহ পাক এই রমজান মাসকে আমাদের জন্য রহমত সরূপ নাযিল করেছেন।আমি কি পারিনা এই মাসেটি আল্লাহর জন্যে ত্যাগ করে দিতে? আমি কি পারি না আল্লাহর কাছে আমার গুনাহ মাফের ফরিয়াদ করতে? আমি কি পারিনা আমাকে দেওয়া আল্লাহর দানের শুকরিয়া আদায় করতে?
বন্ধুরা এই মাসে বেশি পরিমাণে দুইটি কাজ করতে বলা হয়েছে। হাদীস শরীফে এই মাসে দুইটি কাজ বেশি বেশি করতে বলা হয়েছে! প্রথমটি হলো বেশি বেশি কালিমা পড়া এবং নিজের গুনাহের জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। আর দ্বিতীয় টি হল আল্লাহর কাছে জান্নাত চাওয়া, এবং জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি চাওয়া”
হে আল্লাহ! আমাদের সকলকে রমজানের বরকত ও রহমত দান করুন! এবং আমাদেরকে রমজানের হক আদায় করার তৌফিক দান করুন! এবং রমজানকে ওয়াছিলা করে আমাদের সকল কবরবাসীদের কবর আজাব কে বন্ধ করুন!আমাদের উপর থেকে আপনার আজাব উঠিয়ে নিন! আমাদের সকলের গুনা মাফ করে দিন! আমিন! ছুম্মা আমিন!