করোনা ভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে।বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সর্বপ্রথম ৮ই মার্চ শনাক্ত হয়।কিন্তু বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব বারবার প্রচার করছে,সচেতন হতে,কিন্তু ক’জন মানছে সেই সচেতন বার্তা।মিডিয়া বারবার প্রচার করছে হাত ধৌত করার জন্য। হাত নাকে, মুখে ও চোখে স্পর্শ না করার জন্য ও ঘরে থাকার জন্য।কিন্তু সাধারন মানুষ তা সহজে মানতে পারছেনা, কারন একদিকে কর্ম হারানোর ভয় অন্যদিকে ক্ষুধার জ্বালা।সব মিলিয়ে শতভাগ নিয়মের আওতায় নিজেদেরকে আনতে পারেনি শহর, গ্রাম কোথাও।
তাহলে কি আমরা করনার থাবায় তিলে তিলে হারাতে থাকবো স্বজনদের প্রিয় মুখ? আমাদের কোনো প্রচেষ্টাই কি তাহলে কাজে লাগবেনা?
কে দেবে আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র আল্লাহই ভরসা।আশার বানী হলো উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ১০০র ও বেশি দেশ ভ্যাক্সিন তৈরিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে।সফলতার মুখও দেখেছে কোনো কোনো দেশ।তার মধ্যে চীন, যাপান, ইতালি ইত্যাদি পরিক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে এখন পর্যন্ত কেও শতভাগ সফলতার মুখ দেখেনি।কিন্তু আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি সফল হোক তারা।
যুগে যুগে আরো অনেক ভাইরাস,মহামারির আবির্ভাব ঘটেছিল।যুক্তরাজ্য সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছল ইবোলা নামক মহামারি ১৯৭৬সালে। ইবোলার সফল ভ্যাক্সিনটি আরো গবেষনা করে এই ক্লান্তিকালে কাজে লাগানোর জোরদার প্রচেষ্টা চলছে সারা দুনিয়াব্যাপি।তার মধ্যে আমাদের দেশের কিছু ঔষধ কম্পানি কাজ করছে তারা হলো বেক্সিমকো,বিকন,স্কয়ার, এস.কে.এফ ইত্যাদি ফার্মাসটিক্যালস লিমিটেড পরিক্ষা মূলক ভাবে ব্যবহার করছে।সফলতা কতখানি তা এখোনো নিশ্চিত নয়।আমরা খুবই আশাবাদী যে কোনো না কোনো দেশ করোনার ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের সুখবর দিবে ইনশাল্লাহ।
সচেতনতা :
সচেতন বার্তা হিসেবে সারা বিশ্বের মিডিয়া প্রচার করছে সতর্কবার্তা।এর মধ্যে আমার কাছে যে ৫টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে:
১/ ২০সেকেন্ড যাবত ভালোভাবে হাত ধোয়া এবং হাতকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
২/ অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ না করা।
৩/হাচি, কাশিতে শিষ্টাচার মেনে চলা যেমন:
যেখানে সেখানে কফ বা থুথু না ফেলা।রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করা।ব্যবহারকৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলা অথবা হাতের কনুই এর ভাজে হাচি কাশি দেয়া ইত্যাদি অভ্যাসগুলো মেনে চলা।
৪/সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,যেমন:হাটবাজার, মসজিদ, মদ্রাসা,স্কুল, কলেজ, অফিস আদালত মোট কথা যেখানে লোক সমাগম বেশি সেখানে সচেতনতার দিক বিবেচনা করে দুরত্ব বজায় রেখে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষা দেয়া।
সর্বশেষ কথা হলো যথা সম্ভব ঘরে থাকুন,ঘরে থাকুন। নিজে নিরাপদ থাকুন পরিবারকে নিরাপদ রাখুন।আপনি নিরাপদ থাকলে আপনার পরিবার নিরাপদ থাকবে, এবং আপনার পরিবার নিরাপদ থাকলে পুরো দেশ নিরাপদ থাকবে।
নবজাতকের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
নবজাতকের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, শিশুর পাতলা পায়খানা যাতে না হয় তার জন্য কি করবেন, হলে যা করনীয় নিচে কিছু...