আসসালামু আলাইকুম ফ্রেন্ড। আমি আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমরা আজকে জানবো আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা কি (অর্থনৈতিক) সম্পর্কে। জানতে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলটি।
আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা কি (অর্থনৈতিক)
আমরা আজকে জানব আফগানিস্তানের বর্তমান অর্থনীতি সম্পর্কে। গত ১৫ ই আগস্ট এ আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের বছর পূরণ হয়েছে। দেশে সাধারণ নাগরিকরা বলছে এক বছরে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। আরও বেড়েছে তাদের অর্থনৈতিক সংকট। তাদের জীবন যাত্রার মান কঠিন হয়ে গিয়েছে। এবং অনেক যুবক-যুবতী কর্মক্ষেত্র থেকে তাদের চাকরি হারিয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষা থেকে নারীদেরকে বণচিত্র করা হচ্ছে। এবং তারা মেয়েদের এতটাই কঠোর করেছে, কোন মেয়ে যদি বাড়ির বাইরে বের হয় মুখ না টিকে। ঔ মেয়ের বাবা, ভাই, স্বামী যদি সরকারি চাকরিরত থাকে তাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। এই সব কারণে আফগানিস্তানের অর্থনীতি আরও ভেঙ্গে পড়েছে।
২০২১ সালে ১৫ আগস্ট হঠাৎ কাবুল দখলের মাধ্যমে তালেবানরা আফগানিস্তান সরকারের ক্ষমতায় আসেন। আর তালেবান সরকারের এই এক বছর শাসনকালে ভেঙ্গে পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি।
আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ মনে করেন এই এক বছরে তাদের অর্থনৈতিকভাবে কোন উন্নত হয়নি। আরো ভেঙে পড়েছে তাদের অর্থনৈতিক। নেই কোন কর্মসংস্থান। এছাড়াও অনেক যুবক তাদের নিজের দেশ থেকে অন্য দেশে কাজের জন্য গেছে।
খাদ্যের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জনগণের মৌলিক চাহিদের কোন কিছুর ওপরে নজর দেয়নি তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের তিন কোটি আশি লাখ মানুষের ভাগ্য মাত্র কয়েকজন তালেবান সরকার এর হাতে।
এক বছর ধরে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না তালেবান সরকার। রাজনৈতিক পরিবর্তন, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সব দিক থেকেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের মানুষ। আফগানিস্তানের শিশুদের অবস্থা সব থেকে বেহাল। যেখানে ৭০ শতাংশ মানুষই নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে অক্ষম। এর জন্য ৩০ লাখের বেশি শিশু খাদ্য অভাবে অপুষ্ট হীনতায় ভুগছে।
জরুরী ওষুধ এবং হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় চিকিৎসা সেবা ঠিকঠাকভাবে মিলছে না। শিশুদের শিক্ষা ও ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
তালেবান শাসন আমলে আফগানিস্তানে 400 শ বেশি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। যে কয়েকটি খোলা রয়েছে সেগুলো তো মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর নারীদের অধিকার বঞ্চিত করেছে তালেবান সরকার। ঘরের বাহিরে যেতে পারে না কোন নারী। এমনকি কোন কাজেও নারী রা বাইরে বের হতে পারবে না। এমনকি তালেবান এর মন্ত্রিসভাতেউ কোন নারী নেই।
আবার একদিকে খাবারের চড়া দাম। আবার অন্যদিকে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ মানুষেরই কোন কাজ নেই।
অতিরিক্ত খরার কারণে কৃষি কাজে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভেঙ্গে পড়ছে দেশটির অর্থনীতি।
অর্থনৈতিক অবস্থা যে খারাপের কোন সন্দেহ নেই। নিরাপত্তা পরিস্থিতি আগে থেকে অনেক ভালো হয়েছে। তবে দিন দিন অর্থনীতির উন্নত করার চেষ্টা করছে তারা।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ। (সমস্ত তথ্য অনলাইন থেকে নেওয়া)