বাংলাদেশ ভৌগলিক ও জলবায়ুর দিক দিয়ে কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর দিক দিয়ে বাংলাদেশের কৃষি জমি আমন ধান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এবং কৃষকেরা আমন ধান চাষ করে অত্যন্ত লাভবান হয়ে থাকেন। গাইবান্ধা জেলাতে আমন ধানের ব্যাপক ফলন হওয়াতে জেরায় কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটেছে।
গাইবান্ধার কৃষকেরা ধানের জমিতে ধান কাঁটা এবং মাড়াই দিয়ে ধান প্রক্রিয়াকরণে ব্যস্ত আছেন। আমন ধানের চাহিদা ভোক্তাদের কাছে অত্যন্ত বেশী এবং আমন ধান চাষে খরচ কম থাকায় কৃষকেরা এই শীত মৌসুমে আমন ধানের চাষাবাদ করে থাকে। গাইবান্ধার কৃষকেরা বলেছেন যে এবছর গাইবান্ধাতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকাতে আমন ধান চাষে কৃষকের তেমন কোন সমস্যা হয়নি এবং কৃষকেরা আশাবাদী যে বাজারে আমন ধানের চাহিদা ভোক্তাদের কাছে মিটিয়ে তারা সারাদেশের বাজারেই আমন ধানের সরবারহ করবেন।
কে৭টে-খাওয়া কৃষকেরা হেক্টর হেক্টর জমি চাষ করে আমন ধানের চাষাবাদ করে থাকে। আমন ধান চাষ করতে প্রচুর পরিমানে পানি দরকার হয়ে থাকে। পানির চাহিদা পূরনে কৃষকেরা সেচ পদ্ধতি ও পাম্পের মাধ্যমে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। এছাড়াও কৃষি জমিতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং কৃষকেরা ধান ফলনের আগে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সার ব্যবহার করার ফলে কৃষি জমি উর্বর করে থাকে। উর্বর কৃষি জমিতে কৃষকেরা আমন ধানের বীজ লাগিয়ে বাম্পার ফলনের জন্য জমিতে চাষাবাদ করে থাকে।
আমন ধান চাষাবাদের জন্য কৃষকেরা শীতকালকেই বিশেষবাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। গাইবান্ধার সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান যে এবার আমন ধানের ব্যাপক ফলন হওয়াতে ভোক্তাদের চাহিদা মিটিয়ে পর্যাপ্ত ধান গুদামে রাখার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর আমন ধান চাষে তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।
এছাড়াও গাইবান্ধা ইউনিয়নের আরেকজন কৃষক আবদুল মতিন বলেন যে জেলাতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চাষাবাদে কৃষকের কোন সমস্যা হয়নি। অন্যান্য এলাকা থেকে গাইবান্ধা জেলাতে বৃষ্টিপাত খুবই কম হওয়াতে চাষীরা আমন ধানের বাম্পার ফলন করতে সক্ষম হয়েছে। সবমিলিয়ে গাইবান্ধা জেলাতে আমন ধানের ফলন অত্যন্ত লাভজনক এবং কৃষকেরা আশা করছে যে প্রতিবছরই আমন ধানের এই বাম্পার ফলন গাইবান্ধা জেলাতে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সহাযতা করবে।
গাইবান্ধা জেলার কৃষি অফিসার সাদেকুজ্জামান বলেন এ বছর গাইবান্ধা জেলাতে ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাত যেমন ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, ব্রি-৭১,ব্রি-৭২ ও ব্রি ধান ৮৭ সহ বিভিন্ন ধরণের ধানের জাত কৃষকেরা চাষাবাদ করে থাকে। গাইবান্ধার কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সমস্ত বিষয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করা হয়েছে। ভবিৎষ্যতেও গাইবান্ধা জেলাতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।
সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম