আসলে আমরা কি চাই ?
তা কিন্তু আমরা নিজেরাই জানি না । আপনি যখন এই লিখাটা পড়ছেন তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো আপনি আসলে কি চান ?
টাকা-পয়সা , ধন-সম্পদ, নাকি সুখ-শান্তি, না অন্য কিছু এই যেমন অন্য কোন গ্রহে গিয়ে বাস করার ইচ্ছা বা সারা পৃথিবীকে শ্বাশন করার জন্য অনেক শক্তি ? নাকি এমন কিছু সুপার পাওয়ার যা দিয়ে আপনি নিমেষেই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারেন । নাহ ভেবে পাচ্ছেন না বুঝি \ বা এখন আবার ভালো করে ভাবছেন কি হলে আমি শুখে থাকবো । আসলে আমরা চাই শুখে থাকতে ।
আর আমাদের মূল সমস্যা হল আমরা সবাই যা কিছু করি সব কিছুই কিন্তু একটু সুখ শান্তির জন্য । কিন্তু কোখনো এটা ভাবি না, যে শুখের জন্য আমরা এত কিছু করছি তা পাবার জন্য আমরা আমাদের শুখটাকেই বিশর্জন দিচ্ছি । আমরা মানুষরা কত বুকা । আমরা চাই একটা আর করি আর একটা । অথচ যেটা চাই সেটা কিন্তু আমাদের নাগালের মধ্যেই আছে কিন্তু আমরা সেটা অন্য ভাবে পেতে চাই । আসুন এখন একটু ভাল করে ভেবে দেখি ।
আপনার আমার এই পৃথিবীর সকল মানুষের চাওয়া এই যে” একটু শুখে শান্তিতে থাকতে আর তার জন্য আমরা রাত দিন শুধু অর্থের জন্য ভেবে নিজের শুখের ১২ টা বাজিয়ে দিচ্ছি । অর্থ মানেই কি সুখ ? না অর্থ মানে সুখ না বরং অর্থ মানে জালা । আপনার অনেক অর্থ মানে আপনার মাথায় অনেক চিন্তা ।
আমার মনে হয় পৃথিবীর প্রানী কুলের মাঝে আমরা মানুষরাই একমাত্র প্রানী যারা নাকি নিজের চাহিদার অধিক সঞ্চয় করে রাখতে পছন্দ করি । আর সেটা করে থাকি আমাদের শুখের জন্য । কিন্তু দেখা যায় সুখ পাবার জন্য সুখটাকেই কোরবানি করে দিচ্ছি সেটা আমাদের মাথায় আসছেই না । আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই আমাদের ব্রেইন কে এরকম ভাবে শিখিয়েছে ।
গড়ে তুলেছে এমন ভাবে যে সমাজে আমার অনেক টাকা থাকলেই আমার অনেক মূল্য আর সমাজ আমাকে শিখেয়েছে সমাজে যার যত টাকা তার তত সুখ । আসলে মূল কাহিনি যে অন্য জায়গায় সেটা কিন্তু আমরা এক বারো খেযার করে দেখিনি বা ভালো করে ভেবেই দেখি না ।
আসলে সুখে থাকতে হলে অর্থের দরকার পরে না । বরং অর্থই হচ্ছে সকল দুখের মূল। এখন আসি অর্থ ছাড়া আমারা কিভাবে ভালো থাকি । ধরুন আমি ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই তা থেকে সব কিছু বাদ দিয়ে আমার প্রতি মাসে খরচ ১৪ হাজার । তো বেচে যাওয়া ১ হাজার টাকা দিয়া আমি কি করবো । ভাবছেন জমানোর কথা । না সেই টাকাটা না জমিয়ে আপনি অন্য কাউকে দিয়ে দিন যে কিনা এই ১ হাজার টাকার জন্য তার বাচ্চাটিকে স্কুলে পাঠাতে পারছে না ।
এতে করে আপনি নিজে থেকে গর্ববোধ করবেন এটা কনফার্ম । তারপর দেখবেন সেই বাচ্চাটি বর হয়ে যখন মামুষের মত মানুষ হবে তখন যখন তার বাবা আপনার সাহায্যের কথা তাকে বলবে সে কি আপনার দুর্শময়ে তাকিয়ে থাকতে পারবে । কখনো না সে তখন চাইবে সেও যদি কখনো সুযোগ পায় তখন আপনার সাহায্য করে তার ঋনের বোঝা কিছুটা হলেও হালকা করতে ।
তার পর আপনার আজকে একটি টিভি বা যে কোন একটি পন্য কেনার দরকার পরেছে সেখান বাজারে গিয়ে দেখলেন সেই জিনিসটার দাম ৫০০ টাকা দামাদামি করলে বরজোর ৫০ টাকা কমে নেয়া যাবে । হে তাই করুন আর সেই বেচে যাওয়া ৫০ টাকা তাকে দিন যে কিনা ৫০ টাকার জন্য তার পরিবারের জন্য ঘরে চাল নিয়ে যেতে পারছে না । আবার যারা অধিক ধনি । তারা এমনটা করুন যে আপনার ১০ তালা একটা বাড়ি আছে কিন্তু আপনার সেই বাড়ি ভাড়া সম্পূর্ন মাসের খরচ বাদ দিয়ে অনেক টাকা বেচে যায় । সেটা দিয়ে কিছু করছেন না শুধু জমিয়ে রাখছেন ভবিষ্যৎ এর জন্য ।
আমি বলি কি সেখান থেকে কিছুটা টাকা এই ধরুন প্রতি মাসে ১০০ বা ২০০ টাকা এমন কাউকে দিয়ে দিন যে কিনা ১-২ শ টাকার জন্য ভালো এক টা পোশক কিনে পরতে পারছে না । তাহলে দেখবেন আপনার মনের প্রশান্তি কতটা বেরে গেছে । আর আপনি যাকে দান করছেন সে কতটা খুশি হচ্ছে ।
তারপর ধরুন আজ আপনি যাকে দান করলেন তার ছেলে ভাগ্য ক্রমে একদিন বরো ডাক্তার হয়ে গেলো আর ভবিষতে আপনার কোন বড় কোন সমস্যা হলো । তখন যদি সে আপনাকে দেখে আর আপনার সমস্যার কথা শুনে তার ছেলের কাছে বলে তাহলে দেখেবেন তার ছেলে আপনার কতোটা যত্ন নিবে । এমনি করে যদি আমরা পৃথিবীর সকল মানুষ করতে থাকি এক সময় দেখা যাবে । আমাদের মানুষ কূল সত্যি কারের পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ জীবে পরিনত হবে ।
তখন কেউ কাউকে বলবে না যে আমার এটা আছে ওর তো নেই তখন সবাই এক পরিবারের সবাই সমান । কারও কাছে কিছু থাকা মানে সেটা মানোব পরিবারের সবারই অধিকার থাকবে সেখানে ।
তখন কেও ফসল ফলাবে সবার জন্য, কেও চিকিৎসা সেবা দিবে সবার জন্য, কেও গারি বানাবে সবার জন্য কেও বিমান চালাবে সবার জন্য, তখন কেও আর টাকার জন্য কোন কাজ করবে না ।
তখন আমাদের মস্তিস্ক তেমন ভাবেই তৈরি হবে তখন আমাদের মাথায় শুখু একটাই ভাবনা থাকবে সেটা হলো আমি যা কিছু করি বা করব তা সমার ভালোর জন্য হতে হবে । সুন্দর হবে আমাদের পৃথিবী । আর তখনী আমাদের সত্যিকারের ইচ্ছাটা সত্যিকার অর্থি পূরন হবে । তখন আমরা বলতে পারব আমাদের ইচ্ছা শুখে শান্তিতে সকলের সাথে মিলেমশে বসবাস করা ।