প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। সকল বিরুপ পরিস্থিতির মোকাবেলা করে আমাদের সবাইকে ভালো থাকতে হবে। যদিও মানুষের জীবনটা পানির মত স্বচ্ছ নয়। চলার পথও অনেক সময় আকাবাকা হয়, হয় কণ্টকময়। জীবনে আসে অনেক ঝড়-ঝাপটা। জন্ম-লগ্ন হতেই মানুষকে অনেক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে হয়। জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।
তবুও জীবন কখনই থেমে থাকে না। সময়ের সাথে সাথে আপন গতিতে চলতে থাকে জীবন। জীবনের রুপ আবার কখনো পালটে যায়। ভেঙ্গে যায় নানান স্বপ্ন। স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলেও মানুষ আশা ছাড়ে না। ভাঙ্গা স্বপ্ন থেকেই মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে আবার নতুন করে কিভাবে সফল হওয়া যায়, কিভাবে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় প্রতিনিয়ত সেই স্বপ্নই মানুষ দেখতে থাকে। এভাবে স্বপ্ন দেখতে দেখতে একসময় মানুষের কোন না কোন স্বপ্ন পূরণ হয়ে যায়।
সমস্ত বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে মানুষ পৌঁছে যায় তাহার লক্ষ্যে। প্রকৃতির উপর মানুষের যেমন কোন হাত নেই তেমনি জীবনের চলার পথেও নানান-রকম বাঁধা-বিপত্তি আসবে সেজন্য থেমে থাকলে চলবে না। সমস্ত দুঃখ-দূর্দশা হতাশা হতে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। অনেকে দৃঢ় মনোবলতার সাথে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। জীবনে জয়ী হয়।
আমার “গোধুলী লগ্নে” কবিতাটিতে বুঝতে চেয়েছি সারাদিনের কর্ম-কাণ্ডের পর এই অবসর সময়টুকু আমার বেশ ভাল লেগেছে। আর একথা ভেবে ভালো লেগেছে যে, স্বেচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা। দিনের পর রাতের অন্ধকার নেমে আসে। এই অন্ধকারে আমরা যেন ভীত না হয়ে নতুন ভোরের অপেক্ষায় থাকি। এই ভোর হতেই যেন আমরা জীবনের নতুন দিক খুঁজে নিতে পারি। ঘাবড়ে না যাই, হতাশ হয়ে না যাই। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
জীবন হলো বহমান নদীর মত। নদীতে পলি জমে নদীর গতি বদলায়। তেমনি জীবনে আসে কখনও আনন্দ আবার কখনও দুঃখ। আমাদের কখনও হাসায় আবার কখনও কাঁদায়। অবশেষে জীবনের সব রকম পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে সক্ষম হই আমরা।
গোধূলী লগ্নে
গোধূলী লগ্নে খোলা মাঠে যখন,
দাঁড়িয়েছিলাম মনে পড়ে ছিল,
পিছনের ফেলে আসা অতীত।
সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বেদনায় জর্জরিত সব স্মৃতি।
মৃদু বাতাস বইছিল চারিদিকে।
প্রকৃতি ছিল স্নিগ্ধ, কোমল।
বেশ ভালো লাগছিল আমার।
গোধূলী লগ্নের এই ক্ষণটিতে
এমন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে পেরে।
মনে হচ্ছিল দিনের ক্লান্তির শেষে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, পরে নেমে আসে রাতের অন্ধকার।
অন্ধকার শেষে, অবশ্যই ভোরের আলো ফুটে উঠবে।
সেই আলোই মানুষকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাবে।