ইংরেজী একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এ ভাষার চাহিদাও প্রচুর। এবং জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে ইংরেজীতে আমাদের লিখতে বা বলতে হয়। একটা ভালো চাকরির জন্য হলেও ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হয় স্পিকিং এবং রাইটিং এর জন্য।
আজকে আমি কথা বলব ইংরেজিতে কিভাবে সুন্দরভাবে লেখালেখি করতে হয়। আমরা সবাই রাইটিং প্রসেস এর সাথে যুক্ত আছি। স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্যারাগ্রাফ, রচনা বা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখি বা লিখতে হয়।। একটি সুন্দর প্যারাগ্রাফ, রচনা বা কনটেন্ট কিভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় সেটাই লেখার চেষ্টা করব আজ। প্রসেস রাইটিং হলো অনেকগুলো ধাপ নিয়ে একটি জিগজ্যাগ জার্নি। এবং ধাপগুলোর শেষ এ একটি পারফেক্ট লেখা ফুটিয়ে তোলা।
একটি পারফেক্ট প্রসেস রাইটিং এর কতগুলো ধাপ রয়েছে:
১. আমাদের যে রচনা লিখতে দিবে আমরা প্রথমে সেটা নিয়ে চিন্তা করব। ধরলাম, আমাদের ‘অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাস’ সম্পর্কে লিখতে বলেছে। এখন আমরা প্রথমে চিন্তা করব এ বিষয়ে কি কি লেখা যায়। আমি আমার মাইন্ড সেট আপ করব এই বিষয়টা নিয়ে ভেবে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ।। এই ধাপেই রচনার সকল বিষয় মনে মনে চিন্তা করতে হবে।
২. পরের ধাপটি হলো আলোচনা করা। যদি আমাদের গ্রুপ কাজ দেয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে ভাবব এই রচনার পজিটিভ দিক কোনগুলো, আবার নেগেটিভ দিক কোনগুলো। এসব বিষয় রাফ করে রাখব। আবার শিক্ষক এর সাহায্য ও আমরা নিতে পারি। শিক্ষক আমাদের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিবে এবং আমাদের লেখা আরও সুন্দর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিক ও বলে দিতে পারে।
৩. এরপরে আমরা এই রচনার ওপর প্রশ্ন তৈরী করব। প্রশ্ন গুলোর উত্তর বের করলেও একটি সুন্দর রচনা তৈরী হয়। যেমন রচনার ওপর প্রশ্ন করতে পারি, কেন অনলাইন ক্লাস গুরুত্বপূর্ণ? অনলাইন ক্লাস এর ফলে কি কি সমস্যা হয়? অফলাইন ক্লাস এর গুরুত্ব কেমন? অনলাইন ক্লাস এর জন্য শারীরিক এবং মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে নাকি? এগুলার উত্তর ও অনেক সময় আমাদের সুন্দর ভাবে লেখা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
৪. চতুর্থ ধাপটি হলো ম্যাপিং। অর্থাৎ এ ধাপে রচনার ওপর কি কি বিষয় নিয়ে আমরা লিখব তার একটা ম্যাপ তৈরি করব। ম্যাপ টা বক্স আকার হতে পারে, গোলাকার হতে পারে। এই ম্যাপে রচনার সাথে সম্পর্কিত কি -ওয়ার্ড গুলো লেখব। যেমন: নেট সমস্যা, শারীরিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, গ্রুপ আলোচনা, শিক্ষক এর সাথে সামনা সামনি কথা বলা, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস। এমন সব কি-ওয়ার্ড একসাথে লিখে রাখব। পরে এটার বিস্তর আলোচনা তুলে ধরব।।
৫. পরের ধাপটি হলো ড্রাফট করা। আমরা এত সময় ধরে যে, মাইন্ড সেট আপ করলাম, প্রশ্ন করলাম, ম্যাপ তৈরি করলাম, আলোচনা করলাম। এগুলা এবার একটা খাতায় লিখব। ভুল, শুদ্ধ মিলিয়ে লিখব। কোনো গ্র্যামাটিক্যাল ভুল হলেও লিখে যাব। কারণ এটা ড্রাফট। এখানে ফ্রি রাইটিং লিখে যাব। মনে যা আসবে এই রচনা সম্পর্কিত সব লিখে যাব।
৬. এরপর আমরা লেখাটাকে রিভাইস করব। আর কি কি ইনফরমেশন দিতে পারি, কি কি অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিতে পারি এগুলা দেখব। অযথা এক কথা বার বার লিখে লেখার গুরুত্ব নষ্ট করা যাবে না। আর যে তথ্য টা অপ্রয়োজনীয় সেটা দিয়ে লেখার গুণাগুণ নষ্ট করা যাবে না। প্রয়োজনীয় এবং নতুন নতুন তথ্য দিলে অডিয়েন্স অথবা রিডার পড়ে আনন্দ পাবে।
৭. এবার পুরো লেখাটাকে এডিট করব। শুদ্ধ করে লিখব। গ্র্যামাটিক্যাল ভুল গুলো শুদ্ধ করে লিখব। শুধু লেখা দেখলে হবে না, লেখার সাথে যতিচিহ্ন, বাক্য, সঠিক শব্দ লিখতে হবে। প্রতিটা লেখায় স্বচ্ছতা আনব।। তাহলে একটি সুন্দর লেখা তৈরী হবে।
৮. সর্বশেষ ধাপটি হলো পাবলিশ।। রাইটিং প্রসেস এর সবগুলো ধাপ সুন্দর করে শেষ করে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ কনটেন্ট সবার সামনে তুলে ধরব।
এভাবেই ইংরেজিতে রাইটিং প্রসেস করে সুন্দর একটি আর্টিকেল উপস্থাপন করা যায়।। এতে করে লেখার গুণগত মানও ভালো থাকে। এবং লেখাটার গুরুত্ব ও থাকে।