আসসালামু আলাইকুম। এই পোস্টে কিছু আয়াত এবং হাদিস তুলে ধরলাম আপনাদের অনেকের কাছেই ভালো লাগবে আশা করি।
১/ ক্ষমা করা মানুষের একটি মহৎ গুনঃ
অপরের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করা এবং অন্যের অসদাচরণ প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন করা মুমিনের অনন্য একটি গুণ। এই গুণ বা বৈশিষ্ট্য অর্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ খুব সহজেই সবার প্রিয় হয়ে উঠতে পারে মানুষের কাছে এবং আল্লাহর কাছে ও হয়ে যেতে পারে খুব কষ্ট ছাড়াই একটি বিশেষ বান্দা। আল্লাহ তাআলা এই গুণ অর্জনে মানুষকে উৎসাহিত করেছেন।
আল্লাহ ইরশাদ করেছেনঃ আর যে সবর করে ও ক্ষমা করে। নিশ্চয়ই তা অতি আবশ্যকীয় বিষয়। (সুরা : শুরা, আয়াত : ৪৩) আর যারা মানুষকে ক্ষমা করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। (সুরা : আল ইমরান, আয়াত : ১৩৪) মহান আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন এবং বান্দাদের প্রতি অনেক দয়াশীল। তিনি তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) কে এই গুণ অর্জনে নির্দেশ দিয়ে বলেনঃ আপনি ক্ষমাশীলতা অবলম্বন করুন এবং মানুষকে ভালো বিষয়ের আদেশ করুন। আর মূর্খদের উপেক্ষা করুন। (সুরা: আল আরাফ, আয়াত : ১৯৯)
২/ মানুষের জন্য ধৈর্য ধারণ করার সুফলঃ
কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে কোনো কিছু কি খুব দ্রুত পেতে চান আপনি? সেটা হতে পারে পছন্দের কিছু বা সফলতা, হতে পারে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে । আসলে বেশির ভাগ মানুষ ই তাদের চাওয়ার জিনিস গুলি খুব দ্রুত পেতে চায়। তাই আপনিও এইরকম হয়ে থাকলে আপনার জন্য নিচের এই লেখাগুলো ধৈর্য মুমিনের একটি বড় এবং বিশেষ গুন। যা উত্তম চরিত্রের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জিবনে সফলতার চাবিকাঠিও বটে। যাঁদের আল্লাহর ওপর যথেষ্ট বিশ্বাস আছে, তাঁরা কখনো কোনো পরিস্থিতিতে বিচলিত বা হতাশ হন না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেনঃ
হে ঈমানদাররা! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা করো এবং সর্বদা আল্লাহর পথে প্রস্তুত থাকো, আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ২০০)
কেন এই গুন টি আমাদের মধ্যে থাকা দরকার কারন এটি ছাড়া আমরা কোন কিছু অর্জনে সফল হয়ে উঠতে পারবো না। আর কেনই বা ধৈর্য ধারন করবো না আমরা? ধৈর্যের বিনিময়ে তো আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান পাবোই। যেমন এই হাদিস টি পড়ে দেখুন – রাসুল (সা.) একবার আনসারদের কিছু লোককে বলেন, আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরে তিনি (আল্লাহ) তাকে ধৈর্যশীল ই রাখেন। আর যে অমুখাপেক্ষী হতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাব মুক্ত রাখেন। ধৈর্যের চেয়ে বেশি প্রশস্ত ও কল্যাণকর কিছু কখনো তোমাদের দান করা হবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭০)
তবে কষ্টে পড়ে যদি মুখ থেকে কোনো কাতর শব্দ উচ্চারিত হয়ে যায়, কিংবা অন্যের কাছে তা প্রকাশ করা হয়, তবে তা সবরের ধৈর্যের পরিপন্থী নয়। (ইবনে কাসির)
এই পোস্ট টি পড়ে যদি আপনারা আপনাদের জীবনে এই গুনগুলো ধারন করতে পারেন তাহলে আপনাদের জীবনে অনেক ভালো পরিবর্তন আসবে আশা করা যায়। আর যদি এই পোস্ট থেকে কেউ উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার অনুরোধ রইলো। আরও ভালো কিছু পেতে (গ্রাথর) এর সাথেই থাকুন – ধন্যবাদ।