পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে জন্ম লাভ করা বিশেষ এক সফলতা,কিন্তু জীবনকে স্বার্থক ও সফলকামিয়াবীর সফলতা ভিন্ন কথা। সময়ের প্রহরগুলো জীবিত বলতে সব মানুষের জীবনেই আসে। “কঠিন সময় অসাধারণ পথ প্রদর্শন করে,” যা, কারো কাছে কঠিন , কারো কাছে সহজ। কেউ উদ্ভট কল্পনা বা স্বপ্ন বিলাস সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে অলস জীবন যাপন করে কিবা লক্ষ্যহীন জীবনকে মনের ইচ্ছা স্বাধীনতার ওপরে ছেড়ে দেয়, কেউ তাঁর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে জগৎ ও জীবনের স্বরূপ চাক্ষুষ অবলোকন করতে সময়ের কঠিন প্রহরগুলো পাড়ি দিয়ে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে সমাদৃত হয়। আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখে কেউ সৌভাগ্যের পরশ মণি হতে পারে না। সব পাথর যেমনিভাবে পরশ পাথর হয় না তেমনিভাবে সব মানুষ সৌভাগ্যের পরশ মণি হয় না।
তবে কেউ যখন পরশের স্পর্শে পরোশিত হতে চায় , কার্যত নিশ্চয়ই তখন তাকে পাথরের মধ্য থেকে পরশ পাথর খুজেঁ বের করার মত অক্লান্ত চেষ্টা এবং কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। সৌভাগ্য এবং গৌরবের পথ সর্বদাই কণ্টকময় থাকে। জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য স্থির করে অবিরাম সাধনার দ্বারা যত বেশি ব্যর্থতাকে পরাজিত করা যায় সফলতাও তত উচ্চ ও উন্নততর হয় ,চাই , হোক সে ব্যক্তি বিশেষে জাতীয় কিবা আন্তর্জাতিক।দৃশ্যত পরাধীনতার শেকলে বাঁধা বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর করাল গ্রাস থেকে অবমুক্ত হয়ে আজ বিজয়ের অববাহিকায় আমরা বাঙালি জাতি খুব সহজেই আসিনি!
এখনও শুখায়নি শহীদদের রক্তের দাগ , ওই আকাশে জমে থাকা মা বোনদের আর্তনাদ ভেসে আসেএখনও,শোনা যায় কানে। লেলিহান অগ্নিকাণ্ড , লোম হর্ষক সম্ভ্রমহানি, লুণ্ঠন, চৌদিক ঘেরা বর্বরোচিত সাঁড়াশি অভিযান , কত লক্ষ লক্ষ গোলাপের মত আগুন রাঙা তাঁজা টলমল নিষ্পাপ সোনার মানুষের রক্তে রঞ্জিত এ রাজ পথ! সাগর উপচে পড়া রক্তের তুফান পাড়ি দিয়ে ছিনিয়ে আনা আজ বিজয়ের স্বাধীনতা। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রহমান। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শে চরম ও পরমভাবে দিবালোকের ন্যায় ফুটে উঠেছে “কঠিন সময় সর্বদা অসাধারণ কিছুর পথ প্রদর্শন করে।” যার অবদানে স্বাধীনতার সুর্ণীয় রজতজয়ন্তী আজ বিজয়ের উন্মাদনা উপভোগ করছি।
কবিতা :-
মনুষ্যত্বের বিস্তার
মুহা. কবির হোসেন
সোনার কালির হীরক দানায় সোনা রোদের হাসি
গন্ধ রূপে শোভিত করে যাই তারে ভালোবাসি।
কুড়িয়ে নিয়েছি গন্ধ সৌরভী মনোহরী পুষ্প কাল
আত্ম প্রেমের আনন্দ গৌরবে মাতিয়া সর্বকাল।
দেখেছি স্বার্থ করেছি গর্ত ছিদ্রান্বেষী মন কষে
ঈর্ষা করেছি শখের হাসির মানব দানব বসে।
ভাবিনি যে ফুল ফুটেছে গন্ধে নিত্য সৌরভ ছিড়ে
আপন সুখে পরকে নাশি দুঃখের ফাঁসিতে ঘিরে।
জ্যোছনা রাত্রি কাছাকাছি সেতো হৃদয় অনুভব
আপন জ্যোতি ভাবিনি কত প্রিয় স্বজনে সৌরভ।
যেথায় দেখি গোলাপ পুষ্প সৌন্দর্য রূপের কূল
কোমল তুলিতে সেথায় লুটি সারেনি আপন ভুল।
চেতনার বাগান আছে সবার যে জন দিবসের গায়
কেউ ফুটায় সে সুগন্ধি ফুল গন্ধহীন কেউ হীনতায়।
দ্বৈত্যবাদী বাজায় বাঁশি ভাব অনুভবে মিশে
সত্য ন্যায়ের আত্মোৎসর্গ আশ্বাসী হীনতারে পিষে।
মানবতা প্রেমে মানব জনম রাঙায় যে অপরের মন
সুন্দর বল তার চেয়ে বড় এমন কী অসাধারণ?
মুক্ত করে গুপ্ত ভান্ডার সদিচ্ছা পরমা তার
মহৎ মনুষ্যত্বের বিস্তার করে রাঙাব মন সবার।