করোনা প্রতিরোধে ইসলামের দিক নির্দেশনা।
★ বর্তমানে করোনা একটি মহামারির রুপ ধারণ করেছে। প্রায় ২১৭ টি দেশ ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে,করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৮ লাখ লোক, প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২ লাখের বেশি।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইসলামের ও কিছু দিক নির্দেশনা রয়েছে।
ইসলাম একটি মানবতার ধর্ম, যুক্তিভিত্তিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্ম।
মানব জীবনের প্রত্যেকটি দিক নিয়ে রয়েছে ইসলামের দিক নির্দেশিকা। ঠিক তেমনি ভাবে বিভিন্ন রোগ, মহামারি সম্পর্কে দিয়েছে নির্দেশনা।
★ মহামারি রোগের সংক্রমন সম্পর্কে মুহাম্মদ সা. বুখারী শরিফে বলেছেন,
যখন তোমরা শুনবে কোন এলাকায় মহামারি দেখা দিয়েছে, তখন তোমরা সেখানে প্রবেশ করবেনা,আর যেখানে তুমি আছ সেখানে মহামারি দেখা দিলে সেখান থেকে বের হবেনা।
এই হাদিস দ্বারা সুস্পষ্ট ভাবে বর্তমানে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।অথচ রাসূল সা. তা বলে গিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে।
★ এছাড়া ও আমরা বুখারী শরিফ থেকে আইসোলেশনের সম্পর্কে জানতে পারি।
রাসূল সা. সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন,কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে যেন সুস্থ ব্যক্তির সাথে না রাখা হয়।কেননা এতে সুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
★ অন্য হাদিসে রাসূল সা. মহামারি বা সংক্রামক রোগ সম্পর্কে বলেন, মহামারিতে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন তার ঘরেই অবস্থান করে ধৈর্য সহকারে।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা থেকে রক্ষা পেতে যে সকল করনীয় বলে দিয়েছে তা রাসূল সা. আগেই বলে গিয়েছেন।
কাঠিন্যতা আরোপের নাম ইসলাম নয়। বরং সহজটাই হলো ইসলাম।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন- আল্লাহ তোমাদের সহজতা চান কঠিন চাননা।
এই পরিস্থিতিতে আমরা যারা মুসলিম তারাও সংক্রামন ঠেকাতে ঘরেই নামাজ আদায় করতে পারি।
তাই আমরা আবেগের বশবর্তী হয়ে যেন কোন কাজ না করি যদি ও সেটা দেখতে ভালো দেখায়। কিছুদিন আগে পত্রিকায় খবর এসেছে যে, মন্দির থেকে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন অনেক লোক।
এখন আমরা যদি আবেগের বশবর্তী হয়ে সরকারের নিষেধ থাকা স্বত্তেও মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় সহ অন্যান্য নামাজ আদায় শুরু করি তাহলে তাদের মাঝে কেউ যদি সংক্রমিত থাকে তাহলে তাদের থেকে বাকি সুস্থ লোকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। এভাবে আস্তে আস্তে সংক্রমণ এর হার বাড়তে থাকবে।
★ অথচ ইসলাম মহামারি,বৃষ্টি সহ কঠিন দূর্যোগে ঘরে নামায পড়ার ব্যপারে নির্দেশ দিয়েছে।
★ কেননা রাসূল সা. এর সময়ে একবার প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে সাহাবাদেরকে ঘরেই নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৭০০০ এর বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু আমরা যদি এই পরিস্থিতিতে সতর্ক না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলি তাহলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে।
এর পাশাপাশি আমরা ইসলামকে ও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেললাম নিজদের অজান্তে।
অথচ ইসলাম তো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে
তাই আমাদের উচিত সাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে নেয়ার পাশাপাশি আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।
আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে মহামারি থেকে রক্ষা করেন।