আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে কাশফুল গুলো সব ছন্নছাড়া, কাশফুলের রোমান্টিক কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
কাশফুল কি?
কাশফুল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও এগুলো আসলে কোনো ফুল নয়। এগুলো একধরণের ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। একে ইংরেজিতে Kans Grass বলে। এটির এটি মূলত ভারত উপমহাদেশে (বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারত) ও নেপাল এবং ভুটানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
এ ফুলগুলো সাধারণত নদী, খাল, পুকুর বা অন্যান্য জলাশয়ের পাড়ে ফোটে। কাশফুল সাধারণত সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। নদীর পাড়ে সাদা এ ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। সবার কাছে কাশফুল অত্যন্ত প্রিয়। যে স্থানে অনেক কাশফুল একসাথে হয় তাকে কাশবন বলে।
বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানেই কাশবন রয়েছে। সাম্প্রতিককালে এই কাশবনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। গ্রাম এলাকায় কাশফুলকে জ্বালানি ও কম দামে পানের বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই কাশফুল নিয়ে অনেক সাহিত্যক কর্মের সৃষ্টি হয়েছে।
কাশফুল কখন ফোটে?
পছন্দের কাশফুল মূলত শরতকালে ফোটে। যদিও অনেক স্থানে বর্ষাকালের পরপরই কাশফুল ফোটা শুরু হয়ে যায়। আপনি যদি কাশবনে ঘুরতে যেতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো সময় হবে শরতকাল। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস। এ সময়টি কাশবন দেখতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময়।
কাশফুল কেন সবার প্রিয়?
বাংলাদেশের সব মানুষের কাছেই কাশফুল খুবই প্রিয় বিশেষ করে এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা প্রতিবছর একবার হলেও কাশবনে যাবে তা নিশ্চিত। বর্তমানে এই কাশবনগুলো এক ধরণের ট্যুরিষ্ট স্পটে পরিণত হয়ে গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রতিবার শরতকালে এসব কাশবনে যায়। কাশফুল সবার কাছে প্রিয় হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
আমার কাছে কাশফুল প্রিয় কারণ এটি খুবই সুন্দর। তাছড়া এটি যেসব জায়াগায় হয় তা কাশফুলের জন্য পারফেক্ট। ভাদ্র মাসে নীল আকাশে নদীর পাড়ে বাতাসে উড়তে থাকার চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আমার জানা মতে নেই।
কাশফুল কোথায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়?
কাশফুল সাধারণত যেকোনো জলাশয়ের (যেমন নদী বা পুকুর)পাশে চরাঞ্চল, পাহাড়ের উঁচুতে হয়ে থাকে। কিন্তু মূলত জলাশয়ের কাছেই কাশফুল বেশি ফোটে। কাশফুল অনেকগুলো একসাথে হয়। কাশফুল সাধারণত নির্জন এলাকায় হয়ে থাকে যেখানে সাধারণত কোনো মানুষজন থাকেনা।
বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই কয়েকটি কাশবন আছে। ঢাকা ও তার আশেপাশেই মোট ৯টির মতো কাশবন রয়েছে। আপনি চাইলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েই আপনার এলাকার নিকটবর্তী কাশবন খুঁযে বের করতে পারেন।
কাশফুলের রোমান্টিক কবিতা
‘তোমার হাতে বন্দি আমার
ভালোবাসার কাশ,
তাই তো আমি এই শরতে তোমার ক্রীতদাস।
ভালবাসার গান শুনে কাশ ঝরছে তাই,
দেখি আমার শরত রাণী কাশ বনেতে আর নাই।’
কাশবনে যাওয়ার আগে কিছু কথা মাথায় রাখবেন।
১. সবসময় আপনার থাকার স্থানের কাছাকাছি কোনো কাশবনে যাবেন যেহেতু কাশবন নির্জন এলাকায় হয় এক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে।
২. আপনার এলার্জি থাকলে কাশবনে না গেলেই ভালো হয়।
৩. যাওয়ার দুই – তিনদিন আগে বৃষ্টি হলে কাশবনে না গেলে ভালো হয় কারণ সে সময় কাশফুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
কাশফুল গুলো সব ছন্নছাড়া
কাশফুল সবার কাছে খুবই প্রিয় একটি জিনিস। বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এই কাশবনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার ও প্রকৃতিপ্রেমী এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আর তা নাহলে এতো সুন্দর একটা জিনিস আমাদের সামনেই বিলীন হয়ে যাবে।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই কামনায় আজকের জন্য বিদায় জানাচ্ছি। এমন দ্বারুণ সব স্ট্যাটাস পেতে সাথে থাকুন Grathor এর Facebook Group এর সাথেই থাকুন (লাল সবুজের লেখক)।