আশা করি সবাই ভালো আছেন।যারা ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই তাদের মধ্যে সবারই একটা প্রশ্ন জাগে যে কি কি কাজ করবো।ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই কাজ ভালোভাবে শিখতে হবে।সেটা আপনার প্রছন্দের মতো যেকোনো কাজ হতে পারে।
যেমন: ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং এর মধ্যে আপনার যেই কাজটা ভালো লাগে সেই কাজটি একটু প্রাথমিক ধারণা এবং শিখে তার পরে আসবেন এই সেক্টরে।আপনি ট্রেনিং সেন্টারে ও শিখতে পারেন তাছারা ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও আছে তা দেখে শিখতে পারেন।
তবে আমাদের দেশে অনেক মানুষ আছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ না শিখে কাজ করতে চলে আসে।এবং তারা একাউন্ট করে বিট করা ও শুরু করে দেয়।এবং যখন কোনো কাজ পেয়ে ফেলে তখন ঠিকভাবে কাজটি করতে পারে না।যার ফলে ক্লায়েন্টের সময় নষ্ট হয়।
এবং তখন ক্লায়েন্ট যখন দেখে ফ্রিল্যান্সারটা আমাদের দেশের তখন বাংলাদেশের প্রতি খারাপ মনোভাব চলে আসে।এবং আর কোনো সময় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দিতে চায় না।এর ফলে একজন ফ্রিল্যান্সারের কারনে পুরো দেশের মানুষরা কাজ হারায়। তাই অবশ্যই কাজ শিখে তার পরে আসবেন।এখন বলা যাক কি কি জানলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারদেএ মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় দুইটা কাজ হলো ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন।এই দুইটা কাজের চাহিদা ও প্রচুর।আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে চান এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, ওয়ার্ড প্রেস এইগুলো শিখতে হবে। আর একজন গ্রাফিকস ডিজাইনার হতে হলে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এরকম আরো কিছু কাজ শিখতে হবে।তাই আপনাদেরকে একটা ধারণা দিতে পেরেছি যে কি কি কাজ শিখে আসতে হবে। আপনাকে ৫ টি উপায় বলছি যেগুলোর মাধ্যমে কাজ পাবেন।
১.ইংরেজিতে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে।ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার জন্য ইংরেজিতে একটু দক্ষ হতে হবে।
২.আপনার প্রোফাইলটি চমৎকার হতে হবে।
৩.যেই কাজটি করবেন সেটা ভালোভাবে বুঝে তারপর করবেন।
৪.নিজের একটা পার্সোনাল ওয়েব সাইট তৈরি করে রাখবেন সেখান থেকে ও ক্লায়েন্ট আসতে পারে।
৫.যেই সেক্টরে কাজগুলো করবেন সেই সেক্টরে প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ শিখার জন্য এক ঘন্টা সময় রাখবেন।
এই কাজগুলো করলে আপনার কাজ করতে আর বেশিদিন অপেক্ষা দেরি করতে হবে না।এবং এভাবেই কাজ চালিয়ে গেলে একদিন আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সফল হবে।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।