গরীব ঘরে জন্ম নেয়াটা দোষের না কিন্তু গরীব হয়ে মৃত্যুবরন করাটা দোষের । বিলগেস্ট এর উক্তিটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত । এমন অনেক কারন আছে যার জন্য মধ্যবিত্তরা সারা জীবন মধ্যবিত্তই রয়ে যায় কখনো ধনী হতে পারে না । আসলে ধনী হওয়ার জন্য কিছু বড় মানসিকতার প্রয়োজন হয় ।আর এর জন্য আমাদের কিছু শুদ্ধ চিন্তার দরকার । আর সেগুলো কি তা এখন আমরা জানতে চেষ্টা করবো ।
প্রথমত ঃ সেফটি অ্যান্ড সিকিউতিটি । সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি হল মধ্যবিত্তদের সব মধবিত্তরা চায় সবথেকে সেভ জীবন যেখানে রিস্ক নামের কোন শব্দই থাকবে না । কিন্তু আমরা যত বড় রিস্ক নেব আমাদের সফলতাটাও ততোটাই বড় হবে । আর এসবের একটা বড় উদাহরন হল । (Relance Jio) এই রিলায়েন্স জিও লন্স করার জন্য ব্যয় হয়েছিল প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা । জার বেশির ভাগ টাকাটাই ছিলো ব্যাং থেকে লোন করা । আর এসব টাকা এমন কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে লাগানো হয়েছিল যারা অলরেডি এই টেলিকম ইন্ড্রাস্ট্রিতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত যেমন বাজারে প্রথম আসা সিমের কোম্পানিগুলো । তাহলে ভাবতেই পারছেন এটা কত বড় একটা রিস্ক ছিলো । যদি এই রিলায়েন্স কোম্পানির এক্সসিমিনিশনে একটিও গরবর হয়ে যেত তাহলে পুর রিলায়েন্স কোম্পানিটাই ব্যাংরাপ্ট হয়ে যেত । আর এত বড় রিস্ক যিনি নিলেন তিনি অলরেডি ইন্ডিয়ার সবথেকে ধনী ব্যাক্তি মোকেশ আম্বানি । এটাই হলো ঝুকি নেয়ার খমতা আর একারনেই ধনীরা আরও ধনী হতে থাকে। আর এক জন সাধারন মধ্যবিত্ত ব্যাক্তি নিজের ৫ লক্ষ টাকা সেভিং থেকে ৫০ হাজার টাকাও ব্যবসায় ইনভেষ্ট করতে ভয় পায় ।
নাম্বার ২ । আপনি যদি ভেবে থাকেন কঠোর পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি তাহলে আপনি ভুল করছেন। কঠোর পরিশ্রম করলেই যদি ধনী হওয়া যেত তাহলে হয়ত কারখানার শ্রমিকরাই বা রিক্সা ওয়ালারাই সবথেকে ধনী থাকত। জীবনে সব ক্ষেত্রেই এক্সট্রিম লেভেলের কিছু অ্যাড করতে গেলে হার্ড ওয়ার্ক-ই যথেষ্ট নয় । এখানে চলে আসে স্মার্ট ওয়ার্কের গল্প। বিলগেস্ট তার কম্পানিতে অর্থাৎ মাইক্রোসফটে অলস মানুষদের অগ্রাধীকার দেন । তার বক্তব্য হল অলস মানুষরা কখোনই কঠোর পরিশ্রম পছন্দ করেন না। তাই তারা দুঃসাদ্ধ সময় সাপেক্ষ কাজ করার জন্য সংক্ষেপ কোন স্মার্ট পদ্ধতি বের করে ফেলেন যেটা কোম্পানির খরচ কমিয়ে লাভ বারিয়ে দেয় । শুধু টাকা ইনকাম করলাম আর সেটা দিয়ে ভালো করে জীবন চালীয়ে গেলাম এটাই হলো মিডিল ক্লাসদের লেভেল অফ থর্থ তারা কখনো স্মার্টলী কোন কিছু করার কথা ভাবে না । আর সে জন্যই তারা এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে পারে না ।
আবার এমন কিছু লোক আছে যারা বাজারে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দুকানদারের সাথে তর্ক করতে পারে ২ টাকা আলুর দাম কমানোর জন্য । তার মানে ওই লোকটির ১ ঘন্টার মুল্য ২ টাকা । এর পর কখোন কখনো আমরা এমাজন, ফ্লিপকার্ড, দারাজ তোলপার করে ফেলি কিভাবে ৭০০ টাকার পন্য ৫০০ টাকায় পাওয়া যায় । অর্থাৎ মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরোপুরি ফোকাস থাকে বেশি টাকা বাচানো বেশি আয় করা নয় । আমরা কি একবারও দেখিছি বা শুনেছি যে কেও টাকা বাচিয়ে অনেক ধনী হয়েছেন । বর্তমানে টাকা ব্যাংকে রাখলে প্রতিবছর ৪% ভেলিওশন হারে আপনার টাকা কাটা হয় তার মানে আপনি প্রতি বছর আরও গরিব হতে থাকছেন । এক্ষেত্রে সঠিক বুদ্ধি হলো টাকা জমিয়ে না রেখে তা দিয়ে কোথাও ইনভেষ্ট করা বা ব্যবসা করা । তাহলে ঐ টাকা গুলোই আপনাকে আরও টাকা এনে দেবে ।
আবার এমন মানুষ দেখা যায় যারা চাকরি করে ১০ হাজার টাকার আর বাইক চালায় ৪ লক্ষ টাকার । আইফোন এক্স কিনে ১ লক্ষ টাকার । আর লোনের বোঝা মাথায় নিয়ে জীবন কাটায় । আর ওই ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে সে ওই কোম্পানিতে এতই নির্ভরশীল হয়ে পরে যে বস যতই চাপ দিক তা সহ্য করে নিতে হয় । সাথে সাথে বেরে চলে ঋনের বোঝা । শুধু বারে না ইঙ্কাম । যদি আপনার অবস্থা এমন হয়ে থাকে তাহলে আপনার ধনী হওয়ার চান্স অনেক কম । আপনি হয়ত মধ্যবিত্তই থেকে যাবেন । এর থেকে বের হওয়ার একটাই উপায়, এই মুহুর্তে তা না করা যা আপনার ঋনের বোঝাকে আরও বারিয়ে দিবে । বরং তার বদলে কোন ব্যবসা শুরু করা বা মাল্টিপল সোর্স সৃস্টি করা যা থেকে আপনার আয় হবে এবং ধনী হতে সাহায্য করবে ।
আবার কিছু কিছু লোক আছে যারা এটাই বিশ্বাস করে বসে আছে যে সে আর কোন দিন ধনী হতে পারবে না ।ভাবনাটা এমন যে ওর ভাগ্য ভালো ছিল তাই ওই একটা ব্যবসা হয়ে গেছে ভগবান তার গতি করেছে কিন্তু আমার পূরা কপাল তাই আমার আর হবে না । এটা একদম ভুল। অজুহাত চাইলে অনেক দেয়া যায় কিন্তু কিছু করে দেখানোর জন্য একটা কারনই যথেষ্ট আর মধবিত্তরা তো বড় স্বপ্ন দেখতেই ভয় পায় । তো যারা স্বপ্নই দেখতে ভয় পায় তারা তা বাস্তবায়ন করবে কিভাবে । আর কিভাবেই বা হবে ধনী ব্যাক্তি । আচ্ছা আপনার মাঝে কি আছে এমন ইচ্ছা। আপনি কি স্বপ্ন দেখেন ধনী হওয়ার । যদি দেখে থাকেন তাহলে আমাকে কমেন্টকরে জানান আপনার কথা ।