কেমন যাচ্ছে হোম টিউটরদের করোনাকালীন সময়?
“মার্চেই সবগুলো টিউশনি থেকে না করে দিয়েছে, এক মাসের বেতন ও বাকী ছিলো সেটাও পাইনি” বলছিলেন একজন টিউটর।
দেশের বড় বড় ইউনিভার্সিটির অধিকাংশ ছাত্ররাই তাদের পড়াশোনার খরচ চালান টিউশনি করিয়ে। কিন্তু দফায় দফায় লকডাউন আর সাধারণ ছুটিতে বিপাকে পড়েছেন পরিবার থেকে বাইরে থাকা এসব শিক্ষার্থীরা।
গ্রামাঞ্চলের টিউটরদের অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও লকডাউনে টিউশনি হারিয়েছেন ঢাকা সহ শহরাঞ্চলের হোম টিউটর রা।
অনেক টিউটর রা আবার নিজের খরচ পুষিয়ে পরিবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়, এই অবস্থায় তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এসব টিউটরদের বড় একটা অংশ মেসে থাকেন। টিউশনি না থাকায় মেসভাড়া মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা।এদিকে বাড়িওয়ালারা মেস ভাড়া তো কমাচ্ছেন ই না উল্টো হয়রানি হতে হয়েছে অনেককে।
এতো গেলো তাদের কথা যাদের টিউশনি হারিয়েছেন, অন্যদিকে রয়েছে যাদের টিউশনি হারাতে হয়নি কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না ঠিকমতো।
অবিভাবকরা চাকরী হারানোর অযুহাতে টিউশনির বেতন কমিয়ে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই মাসের পর মাস বাকী রেখেও পরিশোধ করছেন না টিউশনির বেতন।
এর মধ্যে আবার অনেক টিউটরকে ক্লাস করাতে হচ্ছে অনলাইনে। অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস চললেও বেতন দিচ্ছেন না অনেক অবিভাবকরা ই।
আবার স্কুল কলেজ বলেন বন্ধ থাকায় ছাত্রদের অমনোযোগীতার শিকার হচ্ছেন অনেক টিউটর। অবিভাভকদের কেয়ার না থাকায় ছাত্ররা পড়াশোনা করছেনা, কিন্তু কথা শুনতে হচ্ছে টিউটরকে।
সবকিছুর মাঝেও যারা টিউশনি করাচ্ছেন, তাদের ও থাকছে করোনাঝুকি। টিউশনি করাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক টিউটর ও।
এমতাবস্থায় হোম টিউটরদের দিনকাল ভালো যাচ্ছেনা মোটেই। মেস ভাড়া মেটাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।
সরকার, বেসরকারি সংস্থাগুলো নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করলেও কলেজভার্সিটি পড়ুয়া এসব হোম টিউটরদের কথা ভাবছেন না কেউ ই!
এখন অভাবে পড়া এসব মানুষদের প্রশ্ন একটাই, কতদিন চলবে এভাবে?
কবে স্বাভাবিক হবে সবকিছু?
আবার কি ফিরতে পারবো স্বাভাবিক জীবনে?