আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন।
করোনায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে,আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে।পাশাপাশি সমানতালে চলছে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য বিজ্ঞানীদের গবেষণা।যদিও অনেক ঔষধ মোটামুটি সফল হচ্ছে তবে কোনটি করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সফল নয়।এবার খবর এসেছে দুই হাজার বছর পুরনো গেঁটে বাতের ঔষধ ছাড়াবে করোনাভাইরাস।এমনটিই দাবি করেছেন একদল মার্কিন গবেষক।জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের গবেষকরা জানিয়েছেন কোলকিসিন নামের ঔষধটি গেঁটে বাতের অসুখে ব্যবহৃত হয়।এই ঔষধটি প্রয়োগের প্রক্রিয়াও সহজ,ইনজেকশন অথবা পুশ করতে হয় না সরাসরি গিলে খাওয়া যায়।গবেষকরা জানিয়েছেন,তারা এই ঔষধটি গ্রিসের ১০৫ জন ‘জটিল’ অবস্হার করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষা করে দেখেন।তাদের মধ্যে ৫৫ জনকে তারা করোনা রোগের অন্যান্য ঔষধের সাথে এই ঔষুধটি টানা তিন সপ্তাহ প্রয়োগ করেন।বাকি ৫০ জনকে এই ঔষধটি দেওয়া হয় নিয়ে।দেখা গেছে,যাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি তাদের অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটেছে।যাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।এই পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।তবে তারা বলছেন,আরো অনেক পরীক্ষা করতে হবে।কেননা এত অল্প সংখ্যক পরীক্ষার উপর নির্ভর করে কোন ফলে যাওয়া যাবে না,আরো অনেক পরীক্ষা চালাতে হবে।কমপক্ষে তিনটি ট্রায়াল চালাতে হবে,সেখানে অসংখ্য রোগীর উপর পরীক্ষায় সফল হলেই তারপর কোন ফলে আসা সম্ভব।তারা আরো জানিয়েছেন, গ্রিসের অন্যান্য করোনারোগীদের ক্ষেত্রে এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।এছাড়া এশিয়া, ইউরোপ মহাদেশের কয়েকটি দেশের উপর তারা পরীক্ষাটি করতে চান।এছাড়া ঔষধটির পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কিনা তাও দেখতে হবে।এসব বাধা পার হলে তবেই তারা ঔষধটি করোনারোগীদের ওপর প্রয়োগে অনুমোদন দিবেন।তাই অারো অনেক পরীক্ষা,সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।তারপরই তারা একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন।দেখা যাক এই গেঁটে বাতের ঔষধ করোনাভাইরাস থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দেয় কিনা?
আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।