ক্রিকেট বর্তমান বিশ্বে সবচেয় জনপ্রিয়ত খেলাগুলির মধ্যে একটি । এটি মুলত এশিয়ান গেম্স বা খেলা। এর জনপ্রিয়তা আর্জন করার কারন হলো দেশে দেশে চলতে থাকা বিশ্বকাপ আসর। এ খেলার তালিকায় রয়েছে ২৬ টি দেশের ২৬ টি দল। এবং সবচে সফল দল হলো অষ্ট্রেলিয়া। যারা ৫ টি বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের দখলে রেখেছে। প্রত্যেক ৪ বছর পর পর একটি করে বিশ্বকাপ আসর বসানো হয়।
আমরা এবারের বিশ্বকাপ আসরের দলগুলো সম্পর্কে জানবো এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সময়ের ধারাবাহিকতায় ১২ বছর পর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ আসর। ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এ শিরোপা আশোর আয়োজনে অবদেন রেখেছেলো।
সর্বশেষ বিশ্বকাপ আসর বসানো হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে যা ইংল্যান্ডের প্রথম সিরোপা জয়ের জন্য অবদান রেখেছিলো।
এবার তার ধারাবাহিকতায় ভারতের সম্ভাবনা থাকবে সবচে বেশি তবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও এবার থাকছে অনেক বেশি।
এক নজরে দেখে নেওয়া জাক সেরা দশে থাকা বিভিন্ন দলের রেঙ্ক ;
০১. অস্ট্রেলিয়া পয়েন্ট —১১৮
০২. পাকিস্তান পয়েন্ট—১১৮
০৩. ভারত পয়েন্ট—১১৩
০৪. নিউজিল্যান্ড পয়েন্ট —১০৪
০৫. ইংল্য়ান্ড পয়েন্ট —১০১
০৬. সাউথ আফ্রিকা পয়েন্ট —১০১
০৭. বাংলাদেশ পয়েন্ট —৯৫
০৮. শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট —৮৭
০৯. আফগানিস্তান পয়েন্ট —৮৫
১০. ওয়েস্ট ইন্ডিজ পয়েন্ট — ৬৮
রেঙ্কিং থেকে আমার দেখতে পারছি ১১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অষ্ট্রেলিয়া দল অর্থাৎ এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড়ো দাবিদার।
সমান ১১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান করছে পাকিস্তান , ১১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে ভারত , এছাড়া ১০৪ পয়েন্টে টেবিলের চারে আবস্থান করছে ২০১৯ বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল নিউজিল্যান্ড এবং ১০১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৫ এ অবস্থান করছে ২০১৯ বিশ্বকাপের চাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ড , সমান ১০১ পয়েন্টে সাউথ আফ্রিকার অবস্থাস ৬ষ্ঠ তম , ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭এ অবস্থান করছে বাংলাদেশ , ৮৭ পয়েন্টে ৮ নম্বরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ,৮৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে রয়েছে আফগানিস্তান এবং সর্বশেষ ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে আবস্থান করছে ওয়েস্টইন্ডিজ।
রেঙ্কিংএর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ নাম্বারে হলেও বিশ্বকাপ জয়ের সবচেয়ে বড়ো সুযোগ রয়েছে এই দলটারই।
এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ ;
এই মুহূর্তে ওয়ান ডে সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বর। ১৮টা ম্যাচ খেলে ১২টায় জিতে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০।
দুই নম্বরে আছে ইংল্যান্ড। ১৫ খেলা খেলে ৯টায় জয়লাভ করে তাদের পয়েন্ট ৯৫। ভারত আছে তিন নম্বরে। যদিও আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ নম্বর। তবে র্যাঙ্কিং দিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না।
খেলা হয় মাঠে, পরিসংখ্যান তাকে জেতায়ও না, হারায়ও না। আমাদের আছেন পৃথিবীর এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আমাদের আছেন পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
বিশ্বকাপের বড় মঞ্চ মোস্তাফিজের জাদু দেখার অপেক্ষা করছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো বড় মঞ্চেরই নায়ক। মুশফিক হলেন অধ্যবসায়ী ভালো ছাত্র, কঠোর অনুশীলন আর প্রতিজ্ঞা বিশ্বকাপের মঞ্চ তাঁর সেরাটাই দেখানোর জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে। আমাদের লিটন দাশের ব্যাটিং তো দেখার মতো।
তাসকিন, শরিফুলের মতো পেসাররা সম্প্রতি খুবই ভালো করছেন। আমাদের স্পিনাররা চিরকালের সম্পদ। মেহেদী হাসান মিরাজের মতো টগবগে খেলোয়াড়েরা যেমন মাঠকে উজ্জীবিত রাখেন, তেমনি নতুন আফিফ-সোহান-জয় আমাদের নতুন আশায় বুক বাঁধতে প্রাণিত করেন।
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আমরা কি ভেবেছিলাম ভারতের মতো দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা? কিন্তু তাই হয়েছে। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আকবর আলীর নেতৃত্বে অসংখ্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। একসঙ্গে খেলেছে দীর্ঘদিন। খেলার ধরন, শরীরী ভাষাতেও ছিল আক্রমণাত্মক ভাব, যা ফাইনালে চমকে দিয়েছিল ভারতকে। ভারতও তো ছেড়ে দেওয়ার মতো দল নয়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। হারার আগে হেরে যায়নি। বস্তুতঃ ওয়ানডে ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবেই সফল বাংলাদেশ।
২০১৪ সালের পর থেকে ঘরের মাঠে মাত্র একটি সিরিজেই হেরেছে তারা। সদ্যই হারিয়েছে শক্তিশালী ভারতীয় দলকে।
সাকিব সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, সে কারণেই ভারতের মাটিতে হতে চলা বিশ্বকাপ নিয়ে এতটা আত্মবিশ্বাসী তিনি।
তাছাড়া এটিই সাকিব, মুশফিকুর, তামিমদের শেষ বিশ্বকাপ। তাই বাড়তি এক তাগিদ থাকবেই। মনে করছে ক্রিকেটমহল।
সর্বশেষ এখন দেখার যে বাংলাদেশ একটি বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিতে পারে কি না , এবারের শরোপা আমাদের হোক এ বেপারে আমরা সকলে আশাবাদী।