আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।
চারদিকের হীম হীম বাতাস জানান দিচ্ছে যে শীতকাল চলে এসেছে। শীতকালে চারদিকে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।চারদিকে পিঠাপুলির উৎসব শুরু হয়।গ্রামের সকলে মেতে উঠে নবান্ন উৎসবে। নতুন ধানের পিঠাপুলি এবং সেই সাথেই শীতের বিশেষত্য যোগ করে এক নতুন মাত্রা।বাংলাদেশের শীতকালের সবচেয়ে বিশেষ খাদ্যবস্তু হলো খেজুরের রস।শীতের বাকি সব বিশেষত্ত এর মধ্যে খেজুরের রস একটি।শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ ছুলে তা থেকে নানান ধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে খেজুরের রস নির্গত হয়।শীতকালে খুজুরের রস তাই বিশেষ কিছু।যারা খেজুরের রস পছন্দ করে তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে শীতের জন্য।খেজুরের এই রস গাছ থেকে কলসিতে করে নামানো হয়। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রুপে তৈরি করা হয়। এই রস কাচা খাওয়া যায়।আবার চুলায় জাল দিয়ে নানান ধরণের পিঠাপুলির সাথে খাওয়া হয়।
খেজুরের রস নিয়ে নানান ধরণের বানী কাব্যকথা প্রচলিত রয়েছে। আজ আমি নিয়ে এসেছি সেই বিশেষ খাবার ‘খেজুর রস নিয়ে কবিতা’।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
খেজুরের রস নিয়ে কবিতা
-সোমা বিশ্বাস
খেজুর গাছের রস
খেতে ভারি মিষ্টি
খেজুর গাছের অমৃত রস
সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি
যে খেয়েছে একবার
সে সময় যাবে ভুলে
চোখটি বুঝো সুখ নেবে
সর্গে যাবে চলে
গাছে উঠে ছুড়ি দিয়ে
চাঁচতে হয় গাছ
তারপর ধাতুর চামচ ঢুকিয়ে
করতে হয় কাজ।
সারাদিন গাছের রস
চুইয়ে পড়ে পাত্রে
খেজুর গাছ নীরবে কাদে
পারে না ফেলতে হাতড়ে।
সে তো এক নিরব প্রাণ
কি করবে সে?
নীরব পাত্রে অশ্রু ঝড়ায়
কোথায় পালাবে?
চাষীদের কাজ চাষীরা করে
রস করবে সঞ্চয়
কিছু চাষী দরিদ্র বড়
তারা যে নিরুপায়।
এইভাবে যার কাজ
সে করে যায়
খেজুর রস দিয়ে সুস্বাদু
খাবার তৈরি হয়।
সামনে নতুন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন