-
গ্যাস্ট্রিক আমাদের দেশে খুব সাধারন একটি সমস্যা।। আমাদের দেশের ছোট-বড় সবাই এই রোগে ভুগে থাকে।। গ্যাস্ট্রিক এ সমস্যা হলে যখন এর লক্ষ্মণ প্রকাশ পায় তখন মানুষের অনেক কষ্ট হতে থাকে।।পেটে অনেক ব্যথা, বুকের উপর বুকে ব্যথা,ঘারে ব্যাথা,পিঠে ব্যাথা এগুলো গ্যাস্টিকের উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়।।। আমাদের দেশে এখন বর্তমানে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশু সবাই এই রোগে ভুগে।। আপনারা কি জানেন এ রোগটা কি?? এটা কিসের কারনে হয়???
আজকে আমি আপনাদের এই রোগটা সম্পর্কে বলব।।আসলে পাকস্থলীর প্রদাহ ই হল গ্যাস্ট্রিক।।আমাদের খাবার হজম করার জন্য আমাদের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে।।আর যখন আমাদের পেট খালি থাকে তখন এই পদার্থটা কাজ না পেয়ে আমাদের পাকস্থলীর প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।। আর এই প্রদাহকে আমরা গ্যাস্টিক হিসেবে চিনি।।তারপর এটি আমাদের পেটের পাকস্থলীর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে আমরা অনেক ব্যথা অনুভব করি।।।এখানে উল্লেখ্য যে এখানে যে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয় সে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা কিন্তু অতি তীব্র।। আর এই অতি মাত্রার হাইড্রোক্লোরিক এসিড আমাদের পেটের পাকস্থলীতে থাকে।।।এখন আসি কেন হয়।।
যদি আমরা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাই এবং খালি পেটে এসিডীয় ফল খাই তাহলে আমাদের দেশ আমাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।।এখন আসি আমরা কিভাবে এটি প্রতিরোধ করি।। এটার জন্য আমরা কি ব্যবহার করি সেটা নিয়ে।। আমরা সাধারণত গ্যাস্টিকের জন্য বাজারে যেসব ঔষধ আছে যেমন এবং বিভিন্ন গ্যাস্টিকের ঔষধ আমরা ব্যবহার করি সেগুলো আসলে কি।।আমরা বাজার থেকে যে সব ঔষধ আনি সে সব মূলত ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড।। আর এই আমাদের পেটে থাকাম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে লবণ ও পানিতে পরিণত হয়।।আর এই তো লবণ ও পানি আমাদের পেটের মধ্যে থাকে যার ফলে আপনার কোনো ব্যথা অনুভব করিনা।।এখানে উল্লেখ্য যে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড অথবা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ পানিতে পরিণত হয়েছে এটা রসায়নের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিক্রিয়া এবং এটার নাম হচ্ছে প্রশমন বিক্রিয়া।।এখন আসি এই গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ নিয়ে।। আমরা যদি এ গ্যাস্ট্রিক হতে মুক্ত থাকতে চাই তাহলে আমাদেরকে তৈলাক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং খালি পেটে থাকা যাবে না আমাদের খালি পেটে পানি অথবা অন্য কোন খাবার খেতে হবে।। আরেকটা কথা উল্লেখ্য যে যদি এই গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর বাজারের ঔষধ এ এর ব্যাথা না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।।।কারণ অনেক সময় এই গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ এর সাথে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এর মিল থাকে।। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে এবং এই গ্যাস্টিকের এই লক্ষণগুলো প্রকাশ হয়ে যেতে পারে ঠিক তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।। যদি আমরা ডাক্তারের পরামর্শ না নেই তাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।।।এমনকি মৃত্যুও।।।
Booster Dose received 1 crore 29 lakh 21 thousand people
12 crore 85 lakh 86 thousand 487 people have taken the first dose of vaccine since the beginning of the...