***আমাদের মধ্যে অনেকেরই চোখের নিচে কালো দাগ পরে যায়। সেটা কেন হয়,,এ সম্পর্কে আমরা একটু আলোচনা করি।
***চোখের নিচে কালে দাগ পরার কারণ,,
আমরা যদি অতিরিক্ত টেনশন করি,,তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ পরতে পারে,,আবার যদি দীর্ঘদিন ধরে কেউ অসুস্থ থাকে,,তাঁরও এ সমস্যাটা হতে পারে,,
বেশি রাত জাগলে চোখের নিচে কালে দাগ পরতে পারে।
যাইহোক যে কারণেই দাগ পরে ,,
এ থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি??
চোখের নিচে কালো দাগ থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায়,,
১/আমাদের সবার ঘরেই কম বেশি শসা থাকে। শসা যদি চাক চাক করে কেটে চোখের উপর কিছুক্ষণ দিয়ে রাখি,,এবং সেটা একনাগারে কিছুদিন নিয়মিত করতে থাকি।তাহলে আশা করা যায় চোখের নিচে কালো দাগ কমে যবে। হয়তোবা এমনও হবে,, চোখের নিচে কালে দাগ ছিলো তা বুঝাও যাবেনা। শসাটা আরেক ভাবে ও আমরা ব্যবহার করতে পারি।
কিছু শসা আমরা থেতলে, একটা পরিস্কার পাতলা কাপড়ে নিয়ে, ঐ কাপড়টা চোখের উপর দিয়ে রাখতে পারি। তাছাড়া শসার রস করে,, সেই রস আমরা আঙুল দিয়ে চোখের চারপাশে আলতোভাবে লাগিয়ে রাখতে পারি। আপনার সুবিধা মতো আপনার কাছে যেটা সহজ মনে হয়,, সেটাই ইউস করতে পারেন।
২/আমরা যদি চোখের নিচে কিছুক্ষণ মধু লাগিয়ে রাখি,,এটাও অনেক উপকারে আসে। তাছাড়া মধু রুপচর্চার খুব ভালো একটা উপকরণ।
৩/আমাদের সবার ঘরে কম বেশি আলু থাকে। আলু চোখের নিচের কালো দাগ উঠানোর ভালো একটা উপকরণ। আলুটা আগে আমরা ছিলে নিব।তারপর আস্ত আলুটা ভালো করে ধুয়ে নিব।এবার আলুটাকে মুটামুটি পাতলা করে কেটে নিব,,যাতে করে আলুটা আমার চোখের উপর দেয়ার পর চোখের সাথে ভালোভাবে মিশে থাকে। আর যদি আলুর চাকাটা মোটা করে কাটি,, তবে সেটা চোখের সাথে ভালোভাবে মিশবেনা।আর আলুটা কাটার সময় আমরা গোল গোল করে কেটে নেব।তাছাড়া আলুর পেস্ট বানিয়ে একটা কাপড়ে মুড়ে চোখের উপর দিয়ে রাখতে পারি। এতেও ভালো কাজ হবে।
৪/আরও একটা ভালো উপকরণ হচ্ছে কাঁচা দুধ।কাঁচা দুধ যদি একটা তুলোর মধ্যে লাগিয়ে, হালকা একটু চিপে, তুলটা ২০/৩০ মিনিট চোখের নিচে লাগিয়ে রাখা যায়, এতেও অনেক উপকার পাবেন। ঘরে তুলো না থাকলে,, আঙুল দিয়েই দুধটা চোখের চারপাশে মেখে ৩০ মিনিট রেখে দিন।তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৫/এক চিমটি হলুদের গুড়ো,, একটু মধু,,আর একটু লেবুর রস একসাথে পেস্ট করে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। তারপর কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে আমরা যদি নিয়মিত ভাবে কিছু দিন ইউস করতে পারি,, তাহলে নিজেদের টা নিজেরাই বুঝতে পারব।তারপর ও যদি আপনার কোন পরিবর্তন না আসে,, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।