আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়।
ভ্রমন: ভ্রমন সব সময় একটা আনন্দের বিষয়। ভ্রমন আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এর ফলে আমার মন ভালো হয়। আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। সেখানকার মানুষ তাদের জীবন ঐখানের পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা যানতে পারি। তাছাড়া আমাদের এই বস্ত জীবনে আমরা যদি একটু সময় তাহলে কার মন চাইবে না যে একটু ঘুরে আসতে বলেন। তাই আমাদের সময় পেলে ভ্রমনে যেতে হবে।
খরচ: আজ আমি আপনাদের এমন একটি জায়গার কথা বলবো যেখানে গেলে আপনার আর আসতে মন চাইবে না। হ্যা আমি সত্যি বলছি জায়গাটা এতোটাই সুন্দর। আমি সবাইকে বলবো আপনাদের যদি কখনো সময় হয় তবে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন। আর সবচেয়ে বড়ো কথা এখানে যেতে বেশি টাকাও খরচ হয়না। তো চলুন শুরু করি।
জায়গা: আমি এতো সময় আপনাদের যে জায়গাটার কথা বলেছি সেটা হলো ”গ্যাংটক” এটি ভারতে অবস্থিত। হ্যা বন্ধুর জায়গাটা অপূর্ব সুন্দর আমি নিজেও অনেকবার গিয়েছি এইখানে। তো চলুন আমি আপনাদের বলেদি কিভাবে যেতে হয় এখানে।
কিভাবে যাবেন: কিভাবে যেতে হয় আপনার এখানে ট্রেনে বা প্লেনে দুই ভাবেই যেতে পারেন। আমি দুই ভাবেই গিয়েছি। তাই আমি দুই ভাবে যাওয়ার কথা বলবো আপনাদের।
ট্রেন: যদি আপনার ট্রেনে যেতে চান তাহলে আমি বলবো আপনার বেনাপোল বর্ডার হয়ে ঢুকলে খুব সহজে যেতে পারবেন। আপনি বর্ডারে ঢুকে সব কাজ শেষ করবেন। তারপর বর্ডার ক্রাস করে ভারতে ঢুকবেন। ভারতে ঢুকে আপনার টাকাগুলো চেঞ্জ করে নিবেন। তার জন্য দেখবেন বর্ডারের কাছে অনেক দোকান রয়েছে যেখানে আপনি টাকা চেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন আমাদের দেশের টাকার কোনো মূল্য নেই ভারতে। তারপর আমরা ঐখানের ষ্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে কোলকাতা যাবো। কোলকাতা আসার পর আমরা ঐখান থেকে শিলিগুরি যাওয়ার টিকিট কাটবো। শিলিগুরি যাওয়ার পর ঐখান থেকে আমরা বাসে করে দারজেলিং যাবো।
ঐখানে আমরা একরাত থাকবো কারন ঐখানে পৌছে রাত হয়ে যাবে। ঐজায়গাটাও অনেক সুন্দর। তারপর সকালে আমরা ঐখান থেকে মাইক্রো করে গ্যাংটক এর উদ্দেশে যাবো যেতে যেতে বিকাল হয়ে যাবে আমাদের। এভাবে খুব সহজে আপনারা গ্যাংটক যেতে পারেন ট্রেনে করে।
প্লেনে: প্লেনে করে গ্যাংটক যাওয়াটা খুব সোজা এবং সময় কম লাগে কিন্তু টাকা একটু বেশি লাগে। প্লেনে যেতে হলে আপনাকে ঢাকা থেকে কোলকাতার টিকিট কাটতে হবে কোলকাতা চলে আসলে তারপর ঐখান থেকে শিলিগুরির টিকিট কাটতে হবে। তাছাড়া বাকিটা এক কারন দারজেলিং বা গ্যাংটকে কোন এয়ারপোর্ট নেই। তাই আমাদের এতোটুকু কষ্ট করতেই হবে। কিন্তু সব কষ্ট তখন দূর হয়ে যাবে যখন আমরা সুন্দর একটি জায়গায় যেয়ে পৌছাবো। তখন এই কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না।
থাকা ও ঘোরা: থাকা ও ঘোরা নিয়ে কারো কোনো চিন্তা করতে হবেনা। কারন ঐখানে অনেক হোটেল রয়েছে যেমনটা রয়েছে আমাদের দেশের কুয়াকাটা বা কক্সবাজারে। আপনি আপনার সাদ্ধ অনুযায়ী যেকোন হোটেলে থাকতে পারেন।
এখানে গোরার জন্য রয়েছে পাহাড় নীল পানির লেক বরফে ঢাকা পাহাড়। তাই যাদের খুব ইচ্ছা বরফের দেশ দেখতে তারা এখানে যেতে পারেন অনেক কম খরচে। কারন আমাদের দেশে বরফ পরেনা। ঐখানে আপনাকে নিয়ে ঘোরার গাইড এবং গাড়ি দুই আপনি পেয়ে যাবেন। এটা আপনি নিজে খুজে নিতে পারেন বা হোটেলের লোকদের বললে তারাই সব ব্যবস্থা করে দিবে। তাই আর দেরি না করে সময় করে চলে যান এবং দেখে আসুন এই সৌন্দর্য।
সকলকে অনেক ধন্যবাদ।