আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি । আজকের বিষয় : চামড়ার নিচে ছোট ছোট টিউমার । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
টিউমার কেন হয়?
আমরা জানি, আমাদের শরীরের কোষগুলো মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত বিভক্ত হয় এবং নতুন নতুন কোষ সৃষ্টি হয়, পুরানো কোষগুলো মরে যায়। অনেক ক্ষেত্রে নতুন নতুন কোষ সৃষ্টি হয় কিন্তু পুরানো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয় না, পুরানো কোষগুলো চামড়ার নিচে জমাট বেঁধে টিউমার চেষ্টা করে।
অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধি টিউমার সৃষ্টি করে। অনেকের বংশগত কারণে টিউমার হতে পারে। শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে। মাথায় বা ব্রেইন টিউমার হলে তা মস্তিষ্ককে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ করে।
চামড়ার নিচে ছোট ছোট টিউমার হলে করণীয়
আমরা অনেককে দেখতে পাই, সারা শরীরে চামড়ার নিচে ছোট ছোট ফোলা টিউমারের মত। মানুষের শরীরে তিন ধরনের টিউমার হতে পারে। যথা- বিনাইন টিউমার, প্রিম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। চামড়ার নিচে আমরা ছোট ছোট যে টিউমার দেখতে পাই তা সাধারণত বংশগত কারণে হয়ে থাকে। মা-বাবা বা পরিবারে কারো এই রোগ থাকলে সন্তানসন্ততির মধ্যে তা প্রকাশ পায়।
তবে এই ধরনের টিউমার খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আমরা মনে করি টিউমার থেকেই ক্যান্সার এর সৃষ্টি হয় কিন্তু এতে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কম। টিউমার ক্রমাগত বিভাজনের মাধ্যমে বড় হতে থাকে অর্থাৎ টিউমার অনিয়মিত আকারের হয়ে থাকে। কিন্তু চামড়ার নিচে ছোট ছোট এই TUMOR কখনো বড় হয় না, এগুলো সব সময় একই রকম আকারের থাকে।
চামড়ার নিচে একেবারে ছোট ছোট এই ধরনের TUMOR হলে এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণত এতে অস্ত্রোপচার করার কোন প্রয়োজন হয় না তবে যদি ব্যথা করে বা দেখতে খারাপ দেখায় তাহলে অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। বেশি পরিমাণে এই রোগ হলে তা মানুষের চোখ, হাড় এবং মস্তিস্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
তাই ছোট ছোট টিউমার গুলো বায়োপসি করা যেতে পারে।
এই টিউমার মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মস্তিষ্কের এমআরআই করে নিতে হবে। চোখের ছড়িয়ে পড়েছে কিনা সে যেন চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
যদি চামড়ার নিচে অল্প পরিমাণে ছোট TUMOR দেখা দেয় তাহলে তা অপারেশন করে কেটে ফেলাই ভালো কারণ এতে ঝুকিমুক্ত থাকা যায় এবং পরবর্তীতে তা থেকে কোন ধরনের রোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকেনা। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেহেতু বংশগত কারণে হয়ে থাকে তাই বর্তমানে এটি দমন করার জন্য জেনেটিক কাউন্সেলিং কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
গর্ভাবস্থাতেই এই রোগ নির্ণয় এবং মা থেকে যেন সন্তানের এই রোগ বিস্তার না করতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আবার মাঝে মাঝে হোমিওপ্যাথিক বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে ছোট ছোট টিউমার গুলো শরীর থেকে অপসারণ হয়ে যায়।
পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।