চুলের সমস্যা? জেনে নিন কিছু টিপস
আসসালামুআলাইকুম
ঘন কাল ঝলমলে চুল কার না পছন্দ বলুনতো? কিন্তু এখন ঘন চুল যেন বিদায় নিতে চলেছে। চুল পড়ার বা অন্যান্য নানবিধ সমস্যা নেই এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর। তাই আজ আমি বলতে চলেছি কিছু ঘরে তৈরি সমাধান।
সবার আগে একটা কথা বলতে চাই যে, ঘরে তৈরি সমাধান বা উপায় গুলো অবশ্যই কয়েকবার বাবহার করতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে সকল সমস্যাই দূর হবে ইংশাআল্লাহ।
অ্যালোভেরাঃ
অ্যালোভেরা এর বাংলা নাম ঘৃতকুমারী। এটি এখন বর্তমানে সবথেকে আলোচিত চুলের উপকারী উপাদান। অ্যালোভেরা এর জেল বের করে বাটিতে নিন। রাতে মাথার ত্বক ও পুরো চুলে মেখে নিন। এক ঘণ্টা পর শুকিয়ে যাবে। পরেরদিন শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রথমবার ব্যবহারেই বুঝতে পারবেন যে চুল কতটা ঝলমলে আর নরম হয়ে যাবে।
এটা সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। চুল পড়ার সমস্যা, চুলের খুশকির সমস্যা, চুল রুক্ষ হয়ে যাবার সমস্যা কমে যাবে মাত্র এক সপ্তাহেই। সাথে নতুন চুল তো গজাবেই। এক মাস বাবহার করুন। নতুন চুল গজানো খুব ভালভাবে পরিলক্ষিত হবে।
লেবুঃ
এবারে বলব লেবুর কথা। আমার তো লেবু ছাড়া একটা দিন ও চলেনা। আর চুলের যত্নে লেবুর উপকারের শেষ নেই। মাত্র একবার লেবু ব্যবহার করেই বুঝতে পারবেন কেন লেবু আমার এত পছন্দের। রাতে নারিকেল তেল আর সমপরিমান লেবুর রস একটি বাটিতে নিয়ে নিন। হাতের আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রনটি মাথার পুরো ত্বকে লাগিয়ে নিন। পরের দিন শাম্পু করে ফেলুন।
অথবা এই নারিকেল তেল আর লেবুর মিশ্রণটি গোসলের এক ঘণ্টা আগে ব্যবহার করুন। চাইলে পুরো চুলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাতে মিশ্রনটি ব্যবহার করলে পুরো চুলে না লাগানোই ভাল, কারন লেবুর রস শুকিয়ে গেলে একটু চিটচিটে হয়ে যায়।
মাত্র একবার ব্যবহার করেই দেখবেন আপনার চুল কতটা ঝলমলে আর উজ্জ্বল দেখাবে।মাথার খুশকির সমস্যা, ফাঙ্গাল জাতীয় সমস্যার থেকে মিলবে মুক্তি।
ডিমঃ
ডিম যেমন শরীরের প্রোটিনের উৎস তেমনি চুলের ও। হ্যাঁ ঠিক ই শুনেছেন, আমাদের চুলের ও প্রোটিনের দরকার। চুল সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় প্রোটিন শরীর থেকে উৎপাদিত হয়। কিন্ত পলুশন আর বিভিন্ন কারনে ড্যামেজ হয়ে যায় আমাদের চুল। তখন বাইরে থেকেও চুলকে প্রোটিন দিতে হয়। নইলে সৃষ্টি হয় চুল পড়ে যাবার মতো নানা সমস্যার। আমরা অনেকেই পার্লার এর কেরাটিন ট্রিটমেন্ট এর কথা হয়ত শুনেছি। ডিম হচ্ছে চুলের কেরাটিন ট্রিটমেন্ট বা প্রোটিন ট্রিটমেন্ট এর অন্যতম উপাদান।
তো এর জন্যে একটা বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নিন। চাইলে কুসুম ও নিতে পারেন। তবে যারা ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না তারা কুসুম বাদ দেবেন। শুধু সাদা অংশ ব্যবহার করলে গন্ধ আসবেনা। এবারে এর মধ্যে পুরো একটা লেবুর রস নিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে মাথার ত্বক, তারপর পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। আয়নায় নিজের চুল দেখে, চুলে হাত দিয়ে আপনার মন ভরে উঠবে শান্তিতে।
আগেই বলেছি ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুলের সমস্যা প্রায় একেবারেই কমে যাবে। চুলকে সুস্থ রাখতে চুল পরিস্কার রাখতে হবে। দয়া করে প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না। এতে চুলের প্রোটিন লেভেল কমে যায়। চুল পড়া, খুসকি আর ফাঙ্গাল এর সমস্যা বেড়ে যায়।
আজ এপর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন আর আমার দেয়া টিপসগুলো ব্যবহার করে উপকৃত হলে আমাকে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
ওটিপি ডিলিট করার নিয়ম অটোমেটিক্যালি এবং কেন?
আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে পেমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের গোপনীয় তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার...