ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ সুইডেন। যদিও ট্যাক্স অনেক বেশি তবুও চাকরি পেলে সেই বেতনে সংসার ভালোই চলে। যে যেই চাকরি করুক বেতন ও সম্মান প্রায় সমান , তাই সবাই অনেকটা এক কাতারে। চিকিৎসা মোটামুটি ফ্রি আর কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে বিপদে সরকার আপনাকে নানা সাহার্য্য করে। রয়েছে শিশু বা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ সুবিধা। আমার মতে বসবাসের জন্য সুইডেন অনেক ভালো দেশ।
ছাত্র ভিসাতে থাকা কালীন সুইডেনের সুযোগ সুবিধা :
১. সুইডেনে ছাত্র ভিসা দেয়া হয় ,,,ইউনিভার্সিটি এর সাথে লিংক না করে। মানে হলো আপনি সুইডেনে যতবার খুশি বিষয় বা ইউনিভার্সিটি পরিবর্তন করতে পারবেন। শর্ত হলো প্রতি সেমিস্টারে যথাযত ক্রেডিট করতে হবে। মনে করুন আপনি ২ বছরের মাস্টার্স এ ভর্তি হলেন ,,যেখানে মোট ৪ টি সেমিস্টার আছে। এখন ইচ্ছা করলে আপনি ৪ টি সেমিস্টার সুইডেনের ভিন্ন ভিন্ন ৪ টি ইউনিভার্সিটি তে করতে পারবেন। (একই বা কাছাকাছি সাব্জেট হতে হবে) এতে আইনগত কোনো বাধা নেই তবে টিউশন ফি এর ব্যাপারটি মাথায় রাখিয়েন।
২. ছাত্র হিসেবে অনেক ডিসকাউন্ট পাবেন অনেক দোকানে ,,,, ছাত্র টিকিট অনেক সস্তা !!!
৩. চাকরি পেলে চাকরি করতে পারবেন ,,সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ ঘন্টা। ভালো বা মেধাবী ছাত্ররা ইউনিভার্সিটি তে অনেক কাজ পেয়ে যান ,,,টিচিং এসিস্টেন্স ,,,লাইব্রেরি ইত্যাদিতে।
৪. ইউরোপের তালিকাভুক্ত দেশ গুলিতে শুধু বেড়াতে যেতে পারবেন এবং ৯০ দিনের মাঝেই আবার সুইডেনে ফেরত আসতে হবে। অন্য দেশে চাকরি করতে পারবেন না।
৫. ২ বছরের মাস্টার্স এ ভর্তি হলে প্রায় ফ্রি চিকিৎসা পাবেন ,,,সকল জটিল অপারেশন বা এ জাতীয় খরচ দিতে হবে না। তবে ১ বছরের মাস্টার্স এ ভর্তি হলে আপনার ইন্সুরেন্স কোম্পানির উপর এইগুলি নির্ভর করবে।
৬. ভালো বা মেধাবী ছাত্ররা খুব সহজেই পি এইচ ডি তে ভর্তি হতে পারেন।
৭. পড়ালেখার মান খুব ভালো ,,,তাই সুইডিশ ডিগ্রি থাকলে প্রথিবীর যে কোনো দেশে তুলনামূলক সহজে চাকরি পাবেন।
৮. স্পাউস ও বাচ্চা ফ্রি পড়ালেখা করতে পারবে ,,যতদিন আপনার ভিসা আছে ততদিন।
৯. আপনি কোথায় থাকবেন সেটা দেখা হয় না ,,ফলে “বাংলাদেশী মেস ” বা সাবলেট থেকে খুব কম খরচে থাকা সম্ভব।
১০. ৩০ ক্রেডিট ও ১৩ হাজার ক্রোনোর এর স্থায়ী চাকরি পেলে ,,ওয়ার্কপারমিট পেতে পারেন।