জাল টাকা চেনার উপায় —
ঈদের সময় নগদ টাকার বিনিময় বেশি হয়,বিশেষ করে ঈদুল আজহার সময় পশু কেনা হয় নগদ টাকায় আর তাই কিছু অসাদু লোক সুযোগের সৎ ব্যবহার করে এই জাল টাকা গুলোকে ছড়িয়ে দেয় আর আমরা সাধারণ মানুষেরা ঠকে যায়। তাই আপনার চাইলে অতি সহজেই চিনতে পারবেন আসল আর নকলের তফাৎ । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সোজা মূল কথায় চলে আসি –
১. ১০০ ,৫০০ ,১০০০, টাকার নোটে নিরাপত্তা সুতায় বাংলাদেশ ব্যাংক এর লোগো ও নোটের মূল্যমান দেওয়া থাকে । যাকে আমরা এদিক সেদিক করলে দেখতে পাবো ।
জুন ২০১৭ হতে প্রচলিত ১০০ ও ৫০০ টাকার নোটে এদিক সেদিক করলে চুলের বেনীর মতো নিরাপত্তা সুতায় একটি অংশ লাল হতে সবুজ রঙে পরিবর্তন হবে আর অন্য অংশটিতে বাংলায় লেখা নোটের মূল্যমান দেখা যাবে। সাধারন আলোতে নোটের মূল্যমান আংশিক দেখা গেলেও টেবিল ল্যাম্প বা টর্চ লাইট দিয়ে দেখলে পুরো ব্যান্ড জুড়ে মূল্যমান দেখা যাবে।
২. ১০০,১০০০ টাকার নোটে এদিক ওদিক করলে রং পরিবর্তন শীল কালিতে মুদ্রিত অংশ সোনালী হতে সবুজ এবং ৫০০ টাকার নোটে এটি লালচে হতে সবুজ হবে । তাছাড়া ১০০০ টাকার নোটের পেছনে বামদিকে থাকা লেখা টি এদিক ওদিক করলে হালকা নীল রঙের বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটি দেখা যাবে।
৩. ১০০,৫০০,১০০০ টাকার নোটগুলো তে সামনের ও পিছনের পিঠের ডিজাইন, মাঝখানের লেখা ,ইংরেজি ও বাংলায় লেখা নোটের মূল্যমান ,৭টি সমান্তরাল হেলানো সরলরেখা এবং ঠিক এর নীচে অবস্থিত ছোট ছোট বৃত্তাকার ছাপ খসখসে অনুভূত হবে।
৪. ১০০,৫০০,১০০০ টাকার নোটের পেছনে ডিম্বাকৃতির অংশটি অতি সুক্ষ্ম আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাগুলো আতশীকাচে এবং উন্নত স্মার্টফোনের ক্যামেরা প্রয়োজন মতো জুম করে দেখা যাবে ।
তো এভাবে আপনারা চাইলে জাল টাকা আর আসল টাকার পার্থক্য বুঝতে পারবেন ।