তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অতি দ্রুতগতি, কম খরচে ও নির্ভুলভাবে তথ্য আদান- প্রদান করা যায়। বর্মাতন বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির উপর এতোটাই নর্ভরশীল যে, রাষ্রে, সমাজে, অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, চিকিৎসায়, কৃষিতে, শিল্পে ইত্যাদি প্রতিরি ক্ষেত্রেই এর ব্যাবহার রয়েছে। তার প্রমান হলো গত এক দশকেরও কম সময়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার কারির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রবনতা অনেক বদলেছে। ক্রমশই এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেনি।
তথ্য প্রযুক্তির আলোড় সৃষ্টিকারি একটি বিষয় হলোঃ-
# কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
মানুষ যেভাবে চিন্তা-ভাবনা করে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটারে সেভাবে চিন্তা ভাবনার রূপদান করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের MIT – এর john McCarthy সর্বপ্রথম Artificial Intelligence শব্দটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। নিজ থেকে নয় বরং নিজের কাছে সংরক্ষিত তথ্য ও প্রোগ্রামের আলোকে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। কোন কোন বিষয়ে সমস্যা হতে পারে সেটা চিন্তা করে আগে থেকেই সেই সমস্যার সমাধান ভতরে ডুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রেয়েছে। যাতে কম্পিউটার নিজে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সমস্যার সমাধান, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারে। কতোগুলো বিশেষ গুণের সমষ্টিই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যেমন- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে চিন্তা ও ধারণা করতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সমস্যার সমাধান, সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা থোকে শেখা বা বুঝা, জ্ঞান অর্জন ও ধারণা করতে পারা, সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তির প্রদর্শন, অর্জিত জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ, নতুন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সফলভাবে সাড়া দেওয়া, ভাষা বুঝতে পারা ইত্যাদি। যখন এ গুণগুলোকে সিমুলেট করা হয় কোন সিস্টেমের মাঝে তখন তাকে বলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্তাকে কম্পিউটারর মাধ্যমে বাস্তবে প্রয়োগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের ভাষা ব্যবহার করা হয়। যেমন – C,C+1,Java,21SP PROLLOG ইত্যাদি।
বুদ্ধিবৃত্তিক বিজ্ঞানর বিভিন্ন বিষয়সমূহ যেমন – এক্সপার্ট সিস্টেম, লার্নিং সিস্টেম, ফাজি লজিক, নিউরাল নেটওয়ার্ক, জেনেটিক অ্যালগরিদম, ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট ইত্যাদি নিচে আলোচনা করা হলোঃ-
এক্সপার্ট সিস্টেমঃ এক্সপার্ট সিস্টেম এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কোনো জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ করা যায়। সূক্ষ্ম বিষয়ে এক্সপার্ট সিস্টেম খুব ভালো কাজ করে। যেমন- জেড বিমান চালনা করা, পরিকল্পনা ও সিডিউল তৈরি, রোগ নির্ণয়, কোনো ডিভাইসের ত্রুটি সংশোধন, আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইত্যাদি।
লার্নিং সিস্টেমঃ- লাার্নিং এজেন্টর চারটি রয়েছে। যথ :
(১) লার্নিং এলিমেন্ট (২) পারফরম্যান্স এলিমেন্ট, (৩) ক্রিটিক এবং (৪) প্রবলেম জেনারেটর।
ফাজি লজিকঃ যে লজিক সাধারণত সত্য এবং মিথ্যা মানগুলোর চেয়ে বেশি কিছু শনাক্ত করতে পারে অর্থা্ত, সত্য ও মিথ্যার মানে প্রশ্ন উপস্থাপন করা যায় তাকে ফাজি লজিক বলে।
নিউরাল নেটওয়ার্কঃ- এরি এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাা মানব মস্তিষ্কের অনুুরূপ কাজ করতে পারে।
জেনেটিক অ্যালগরিদমঃ- বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি খাত এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মডেল তৈরিতে জেনেটিক অ্যালগরিদম সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।