হাই বন্ধুরা!কেমন আছো তোমরা সবাই? আশা করি ভালো আছো। আজকে আমি তোমাদের সামনে নিয়ে এসেছে এখনকার যুগের সবচেয়ে বড় সমস্যার কথা আলোচনা করতে। এবার আসা যাক আসল কথায়, আমাদের এখনকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ফেসবুক আসক্তি।
হাতের মোবাইলে রাতের অন্ধকারের পৃথিবী আলোকিত হয়ে উঠছে। ঘুমঘুম চোখে রঙিন দুনিয়ার স্বপ্নে বিভোর তারুণ্য ক্রমে ফেসবুক আসক্তিতে জড়িয়ে দিনের কর্ম ঘন্টাকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। ফেসবুক দুনিয়ায় ভাসছে দেশের তরুণ সমাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসামাজিক কর্মকান্ড থেমে নেই। আছে রাজনৈতিক নোংরামি ও। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। যান্ত্রিক সভ্যতার ক্রমবিকাশের মানুষ ক্রমেই যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের তরুণ সমাজের দিনের বড় একটা অংশ ফেসবুক দখল করে নিয়েছে। অনেকে রাতের ঘুম কে বিসর্জন দিচ্ছে। আজকের বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যা কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
৩০বছরে পৃথিবীর যে রূপ বৈচিত্র লাভ করেছে, তা ৩০০বছরেও সম্ভব হয়নি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞান, আবিষ্কার অর্জনের এর মধ্য দিয়ে। পৃথিবী তারুণ্যের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতিতে এবং সমৃদ্ধির পথে, বাংলাদেশের তরুণরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে ফেসবুক ইন্টারনেট এ। ফেসবুকের কল্যাণে দেশে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে।
ইন্টারনেট খুলে দিয়েছে এবং রঙ্গিন দুনিয়ার সব দরজা জানালা। এখন পৃথিবীর একদেশে বসে অন্য দেশের মানুষের সাথে সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলার মাধ্যমে নানা কার্যক্রম সম্পাদিত হচ্ছে। এছাড়াও বন্ধ নেই সাইবার ক্রাইম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের অবদান নগণ্য করে দেখার সুযোগ নেই।
তারুণ্যের এই ফেসবুক আসক্তি বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে? জীবনের নিবন্ধিত দিনগুলোর মূল্যবান সময় ফেসবুকে নষ্ট না করে এ দেশের তরুণরা ও যদি জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে আসত তাহলে বাংলাদেশের অনেক দূর এগিয়ে যেত। আইফোন স্যামসাং এর দুনিয়ায় স্মার্টফোন এক্সেস ছাড়িয়ে আসুসের যেন ফোন ডিলাক্স এখন বাংলাদেশের তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশ সমৃদ্ধ হলে জাতি উপকৃত হবে। আর জাতি উপকৃত হলে সভ্যতার বিকাশ করবে।