আপনারা সবাই কেমন ভালো আছেন? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করে আজ আমি নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করলাম।
আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো মানব জীবনের অমূল্য সময় যৌবন নিয়ে। হ্যাঁ, আজকের কবিতাটি আমি যৌবন নিয়ে লিখেছি যার মূলভাবও সবশেষ নিচে ব্যক্ত করেছি।
কবিতাটি পড়ার আগে যৌবন কি, যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ ও যৌবনের তাৎপর্য সম্পর্কে সংক্ষেপে সকলকে অবহিত করে রাখি।
যৌবন কিঃ সাধারণত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের সময়কালকে বলা হয় কৈশোরকাল। আর কৈশোর থেকে পরবর্তী পদার্পণের সময়কালকে বলা হয় যৌবন।
সুতরাং আঠারো বছর বয়সই হলো মানব জীবনে তার যৌবনে উত্তরণকালীন পর্যায়।
যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহঃ যদি যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ ভেবে দেখা হয় তাহলে আমরা দেখব যে, যুগে যুগে উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গেছে যৌবনেই। কারণ মানুষ যখন তার কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ করে তখন সে অন্যদের ওপর থেকে তার নির্ভরশীলতা পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে। অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা তখন এই সময়ে বিশেষ তীব্র হয়ে ওঠে। তাই সে প্রবল উত্তেজনা, আবেগ ও উচ্ছ্বাসে কোনো কিছু ভয় না করে দুঃসাহসিক কাজে হাত বাড়ায় এবং দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ী হয়।
যৌবনের তাৎপর্য কিঃ যৌবন হলো ব্যক্তির জীবনে তার অনুপম চালিকাশক্তি যা তার পরবর্তী জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা যৌবনের পরবর্তী সময়ে যৌবনের মতো উদ্দীপনা, সাহসীকতা ও দর্বার গতি পাওয়া সম্ভব না।
তাই সকলের উচিত যৌবন হেলায় না পার করে সঠিক ও ভালো কিছু করে জীবনটাকে গড়ে নেয়া। তা না হলে পরবর্তীতে অনুশোচনা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
আর আমি নিচে যৌবনে ব্যর্থ হওয়া এক ব্যক্তির পুনরায় তার যৌবনে ফিরে আসার যে কত ব্যক্ত অনুনয়, তাই নিয়ে চমৎকার ভাবে লিখেছি।
আশা করি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা এ কবিতাটি পড়বেন তাদের সকলের ভালো লাগবে।
তারে ফিরায় আনো যৌবনদীপ্ত মাঝে
হে কবি তারে আজি আনো ফিরায়–
আপন সুরের বিলোলে এ ধরায়;
তারে ফিরায় আনো যৌবনদীপ্ত মাঝে,
তার সুর নিত্য শিয়রে শমনে বাজে।
কি নিরঞ্জন সে যেন ঝর্ণার ধারা–
মন হতে চায় আবার আনন্দহারা;
তারে ফিরে পেতে আমি দেওয়ানা,
তার অনেক কিছুই যে রয়েছে অজানা।
তার কথায় সে ফিরে আসতে নারে,
হেলায় পার করেছি যে আমি তারে;
কালের আক্ষেপে এই ভ্রম হলো নিরসন;
জহসে আর আসবে না– যৌবনদীপ্ত ক্ষণ।
মূলভাবঃ মানব জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো তার যৌবন যা দ্রুতমান সময়ের মতো। যা একবার চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া অসম্ভব।
কেমন লাগলো সবার। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করুন। তাইলেই আমি পরবর্তী কবিতা লিখতে উৎসাহিত হব। আজকে এ পর্যন্তই।
সকলকে ধন্যবাদ।