দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান, জীবন বদলে যাবে
দৃষ্টি ভঙ্গির উপরই মানুষের সব কিছু নির্ভর করে। দৃষ্টি ভঙ্গি যদি ইতিবাচক থাকে, তাহলে জীবন ইতিবাচক, আর দৃষ্টি ভঙ্গি যদি নেতিবাচক তাহলে জীবন ও নেতিবাচক।
নেতিবাচক চিন্তা আপনার সৃজনশীলতাকে খুব সহজেই ধ্ধংস করে দিতে পারে, নেতিবাচকতার ফলে সব কিছু কেমন যেন “না” না” মনে হয়। আর এই না মানুষকে অনেক পিছিয়ে দেয়। সব সময় বিষন্নতার ভাবনা, কাজকে করে দেয় বিষন্ন। কোনো কিছুর আগেই হার মানার প্রবনতা দেখা দেয়। এই হার শুধু হার নয়, এ হার জীবনের হার।
চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রে আপনি যতদূর এগিয়ে থাকবেন, ঠিক জীবনের ক্ষেত্রেও আপনি ততদূর এগিয়ে। আপনার দেখার চোখের উপরই নির্ভর করছে আপনার সাফল্য। যে রকম ভাববেন, আপনি ঠিক সেরকমই ফলাফল পাবেন। আপনার চিন্তার দীর্ঘতাই আপনি অনন্য, আপনাকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেবে আপনার চিন্তার ইতিবাচকতা। চোখে ইতিবাচক ভাবে দেখতে শিখবেন, দেখবেন সব কিছুই আপনার পক্ষে। জীবনকে একটু ভিন্ন ভাবে দেখতে শিখেন, কারণ জীবনটা আপনার, আপনাকেই হিসেব দিতে হবে সবকিছুর।
যতক্ষন আপনি নেতিবাচক ভাববেন, জীবনের ঠিক ততটা মুহূর্ত আপনার খারাপ, পৃথিবীর সাধ থেকে আপনি বঞ্চিত, নিজেকে অন্য রকম এক জগত থেকে আলাদা করে ফেলছেন আপনি। জীবন একটাই, আর এ একজীবনে কি এমন দরকার সময়কে খারাপ করার। খুব খারাপ কিছুতেও ভালো কিছু খুজে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকবেন, দেখবেন একটা সময় সব কিছুতেই আপনার চোখ ভিন্ন কিছু দেখবে, আপনার চোখ সাফল্য দেখবে, আপনার জীবন বদলে যাবে।
জীবনকে বদলানোর দায়িত্বটা আপনারই, কেউ কিছু করে দিবেনা, তাই নিজেকে কুক্ষিগত করে রাখবেন না, প্রকাশ করেন নিজের ভেতরের সম্ভাবনাকে, নিজের শক্তিকে জানান দিতে পারলে আপনি হয়ে উঠবেন ইতিবাচক, আর জীবন হবে মধু ময়।
নেতিবাচকতা শুধু তিক্ততাই দিতে পারে এর বেশি কিছু নয়, জীবনকে তিক্ত করে তুলতে আপনার একটা নেতিবাচক চিন্তাই যথেষ্ট, একটা নেতিবাচক চিন্তা আরেকটা চিন্তার জন্ম দেবে, আপনাকে করে তুলবে আরো নেতিবাচক চিন্তার অধিকারী।
দৃষ্টি ভঙ্গির উপরই আপনার পথচলা। জীবন কে যে কোণ থেকে দেখবেন, জীবন ঠিক সে রকমই, ইতিবাচকতার কোনো বিকল্প নেই জীবনকে বদলে দেয়ার। আধাঁরের মাঝে আলো খুজে নিতে হবে, আবার আলোটাকে ও জ্বালিয়ে রাখতে হবে, তাহলেই আপনার আগামী বদলে যাবে। তাই সবকিছু বাদ দিয়ে ভাবনার পরিবর্তন ঘটান, জীবন পরিবর্তন হবে।