বন্ধুরা কেমন আছো? বেশ কয়েকদিন পর তোমাদের সামনে আবার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে পেঁয়াজ নিয়ে। বন্ধুরা আশা করি সবাই জানা যে এখন বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। পেঁয়াজের এর দাম নিয়ে আমরা খুবই সমস্যায় আছি।
চলতি বছরে আরো একবার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমরা। আমাদের দেশে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে আমাদের চলে না। বেশিরভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। ভারত যখনই আমাদের দেশে পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তখনই দেখা যায় আমাদের দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবসায়ীরাও দায়ী। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে আমাদের সাধারন মানুষের বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেক চাপ সৃষ্টি হয়।
প্রতিবছর দেখা যায় কিছু কিছু সময় পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে যায়। গতবছর তো প্রায় দুইশ আড়াইশো টাকায় বিক্রি হয়েছে ১কেজি পিয়াজ। পেঁয়াজ সাধারণত ২০-৩০ টাকার ভিতরে থাকে কেজি। গতবছর ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছিল পেঁয়াজের। কয়দিন আগে একই কাজ করেছে। এখন আবার একই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আমাদের প্রথমে দেখতে হবে এই সংকট কিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা। এতে বিশেষ করে সরকারের নজর দেওয়া দরকার। ঠিকমতো মনিটরিং করে কাজ করতে হবে সরকারকে। তাহলে আর ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করতে পারবে না। সরকার চারটি জেলাকে নজরদারিতে রেখেছে। এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। ব্যবসায়ীরা দায়ী করতে সরকারকে পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য। এরা বলতেছে শুল্ক হার বেশি হওয়াতে তারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাই এখন সরকার পেঁয়াজের উপর শুল্ক হার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আশা করি এতে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক সুবিধা হবে পেঁয়াজ আমদানি করতে। সরকার বলতেছে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ এখনো দেশে মজুদ আছে। কিন্তু আমরা তা পাচ্ছি কই হাতের নাগালে? ভারত থেকে নাকি পচা পেঁয়াজ দিয়েছে বলতেছে ব্যবসায়ীরা। বেড়ে যাওয়ার আরো একটি বড় কারণ দেখাচ্ছে ব্যবসায়ীরা এটাকে। এক বস্তা ৫০ টাকা যে ও বিক্রি করতে পারতেছ না নাকি। সরকারিভাবে বিটিসি ন্যায্য মূল্য পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেই পেঁয়াজ কয়জনে পায়?
এখন আমার কথা হল সরকার যদি ঠিকঠাক মত মনিটরিং করে বাজারে, তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান কিছুটা করা যাবে। এভাবে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ব্যবসায়ীরা সব সময় ইচ্ছামত দর বাড়াতে থাকে তাহলে আমাদের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের চলতে অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। সরকারের কাছে একটি অনুরোধ থাকবে যাতে এই সমস্যার সমাধান দ্রুত নিষ্পত্তি করে।