বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমরা জানি, ধুমপান মানে বিষপান। এটা জানার পরেও সারা বিশ্বে ধুমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। এতে করে ধুমপায়ী ও তার আশপাশের মানুষজন রয়েছেন চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। আজ এরকমই কিছু স্বাস্থঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করছি।
ধূমপান শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতি করে। একজন ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।ধূমপান একজন গর্ভবতী মহিলারও গর্ভ সময়কে কঠিন করে তুলতে পারে। এটি জন্মের আগে এবং পরে শিশুর স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। ধূমপান এর জন্য দায়ী।
ধূমপান পুরুষদের শুক্রাণুকেও প্রভাবিত করতে পারে। যা শএক্রানুর উর্বরতা হ্রাস করতে পারে এবং জন্মগত ত্রুটি এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।ধূমপান হাড়ের ক্ষয় ও স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ধূমপান আপনার দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং দাঁত ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ধূমপান আপনার ছানি ছত্রাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। চোখের লেন্সগুলিকে ক্লাউড করা যা আপনার পক্ষে দেখা শক্ত করে তোলে। এটি বয়সের সাথে সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় (এএমডি) তৈরি করতে পারে।
ধূমপান ডায়াবেটিস মেলিটাসের কারণ এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন করে তুলতে পারে। ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ধূমপায়ীদের জন্য অনেক বেশি।
ধূমপান শরীরের উপর সাধারণ প্রতিকূল প্রভাব সৃষ্টি করে যার মধ্যে প্রদাহ এবং ইমিউন ফাংশন হ্রাস করা সহ বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে। ধূমপান রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণ বলেও শনাক্ত করা হয়।
ধুমপায়ী স্বামীর কাছাকাছি থাকা স্ত্রীও ধুমপায়ী স্বামীর মতোই আক্রান্ত হতে পারে। তার সন্তান এমনকি গর্ভের সন্তানের উপরও সমান তালে ধুমপানের প্রভাব পড়তে পারে।
উপরের আলোচনা থেকে আজই ধুমপান বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। কারণ একজন অধুমপায়ী লোক একজন ধুমপায়ী লোকের চাইতে অনেক বেশি সুস্থ সময় পার করে থাকে।
ধুমপান ছাড়ুন, করোনা থেকে রেহাই পান। স্বপরিবারে সুস্থ্য থাকুন।