নতুন চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেই কাজ গুলো একদমই করবেন না?

আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা রয়েছে অনেক। গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করে অনেকে চাকরি না পেয়ে এমনিতেই দিন কাটাচ্ছে অন্য দিকে আরও ভালো মানের পজিশন থেকে পড়ে অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে বেকারত্বের মাঝে দিন কাটাচ্ছে।

হতাশা বেড়ে চলেছে।অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আর কতদিন থাকবেন যার কারনে মানসিক চাপ পড়ছে।কিন্তু চেষ্টা করেও একটি চাকরি জোগাড় হচ্ছে না। অনেকে পুরনো চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন চাকরির খোঁজ করছেন।কিছু কোনোভাবেই কিছু হচ্ছে না।হইতো বড় কোনো ভুল হচ্ছে আপনার যা আপনার চোখে পড়ছে না?

 

অনেকগুলো ভুল কাজ রয়েছে যার কারণে হয়তো আপনার হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে অনেক ভালোমানের চাকরি। আজকে আমরা জানবো যে চাকরির ক্ষেত্রে কোন ভুলগুলো আমাদের করা একদমই উচিত না।

 

সিভি ঠিক মত না লেখা: আপনি ঠিক করেছেন একটা রেজুমে জমা দিবেন,কিন্তু ভাবতে পারেন সেখানে ভুল শুদ্ধ দিয়ে কি যায় আসে।কিন্তু যাদের কোম্পানিতে আপনি আবেদন করবেন তাদের কোম্পানিতে প্রতিদিন অনেক রেজুমে আসে,তারা সেখান থেকে যাদেরকে যোগ্য মনে হয় তাদের ডাক দেয়।তারা আপনার রেজুমে দেখে এইটা বিবেচনা করবে যে আপনি তাদের কোম্পানির জন্য কি করতে পারবেন, কিংবা কতটুকু সাহায্য হবে আর লাভ হবে তাদের কোম্পানির।

সিভির সাথে চাকরির যাবতীয় সব লিখে দিন।আপনার রেজুমে লিখে দিন সেই কোম্পানির এমন কি কাজ আছে যা নিয়ে আপনার অনেক দক্ষতা আছে আর আপনি অনেক পারদর্শী। তাছাড়াও ছাত্রজীবনে কোথায় পড়েছেন কোন কোন দক্ষতা ছিল এসব লিখে দিবেন।অনেকে সিভির সাথে কভার লেটার দেওয়ার কথা ভুলে যায়।কিন্তু ভুলে গেলে হবে না,সিভির সাথে অবশ্যই কভার লেটার দিবেন।

 

লেখাপড়ার মান অনুযায়ী চাকরি খোঁজা: যারা চাকরি খুঁজে তাদের বেশিরভাগই লেখাপড়ার উপর ডিপেন্ড করে সেই মানের চাকরি খুঁজেন।এইটা আপনার অনেক বড় ভুল।আপনার লেখাপড়ার ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী যতটুক সম্ভব ততটুক অনুযায়ী আপনি আবেদন করবেন,কারণ আপনি জানেন না যে কোথায় আপনার চাকরি টা ফিক্সড হবে। সুতরাং,সব ধরনের পোষ্টে আপনার আবেদন করাটায় উত্তম হবে। সমস্ত জায়গায় ট্রাই করলে আপনার আবেদন করার অভিজ্ঞতাটা হবে।

 

ভেবেচিন্তে আবেদন করা: ভেবেচিন্তে আবেদন করবেন,যার মানেটা হলো ধরুন আপনি ব্যাবসায় শিক্ষা বিভাগ এর একজন ছাত্র বা ছাত্রী,এখন আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগের কোনো সাবজেক্ট বিষয়ক কিছু করতে চান তাহলে কি আপনি পারবেন সেটা? সাভাবিক ভাবে না পারার এই কথা,ঠিক এমনি আপনি যা পারেন না অথচ সেটা লাভজনক হওয়ায় আপনি আবেদন করছেন এমনটা করলে ভুল হবে। সুতরাং,সেক্ষেত্রে অযথা আবেদন করবেন না।

 

হতাশ হওয়া: যেটা অনেক জরুরি একটা বিষয়।কোনোভাবেই হতাশ হওয়া যাবে না।কিন্তু হতাশ আমরা হয়ে যায় নিজের অজান্তে ও।

যেমন: ধরুন আপনি অনেক আহামরি হয়ে চাকরি খুঁজছেন।তাই আপনি অনেক হতাশ বোধ করছেন।এখন আপনি ইন্টারভিউ দিতে গেছেন সেখানে যদি তারা এইটা বুঝে যে আপনি হতাশ আপনার আত্মবিশ্বাস এর ঘাটতি তাহলে তারা আপনাকে চাকরি দিতে চাইলেও না দিতে পারে।কারণ তারা আত্মবিশ্বাস আছে এমন কাওকে তাদের কোম্পানিতে রাখতে চাই।

 

সর্বশেষ একটা পয়েন্ট: যেখানেই ইন্টারভিউ দিতে যান না কেনো সবখানেই নিজেকে মিচিউর করে নিতে হবে। কখনোই কাওকে বুঝতে দিবেন না আপনি কোনো কারণে হতাশ।সব পরস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখে নিবেন।

Related Posts

4 Comments

মন্তব্য করুন