আশা করি সবাই ভালো আছেন।আজ নতুন একটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।চাঁদে তৈরি হবে লুনার বেস, যা তৈরি করবে আমেরিকান স্পেস এজেন্সি ” নাসা “।
বন্ধুরা চাঁদে মানুষের শেষ পা পড়েছিল ১৯৭২ সালের অ্যাপোলো ১৭ মুন মিশন এর মাধ্যমে।এবং এই মিশনের পর মানুষ আর দ্বিতীয় বার চাঁদে যায়নি। কিন্তু আজ প্রায় ৫০ বছর পর, নাসা পুনরায় মুন ল্যান্ডিং করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু এবার অ্যাস্ট্রোনটেরা চাঁদে লুনার বেস স্থাপন করে বেশ কিছুদিন বসবাস করার চিন্তাভাবনা করেছেন । এর জন্য বিজ্ঞানীরা চাঁদের নিচে মজুদ আন্ডারগ্রাউন্ড লাভার টিউবের ব্যবহার করতে চলেছেন।যা তাদেরকে মহাকাশীয় রেডিয়েশন এবং আর চাঁদের পরিবর্তনশীল তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করবে।
পোস্ট টি মজাদার এবং তথ্যবহুল হতে চলেছে আপনারা সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
বন্ধুরা, আজ পর্যন্ত চাঁদের জমিতে তিনদিনের বেশি থাকতে পারেনি। এর পেছনে দুইটি কারণ ছিল,
এক. কসমিক রেডিয়েশন। কসমিক রেডিয়েশন হলো দূরের কোন গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি বা নেবুলা থেকে আসা গামা রশ্মি।চাঁদে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল তথা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড নেই বলে, মানব দেহে কসমিক রেডিয়েশন এর প্রভাব পড়ে।আর এর ভয়ঙ্কর প্রভাব এর ফলে ক্যান্সার এমনকি ডিএনএ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
দুই. চাঁদের ভূপৃষ্ঠে হওয়া তাপমাত্রার পরিবর্তন। চাঁদের কাছে কোন বায়ুমণ্ডল নেই যার ফলে সে তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। দিনের বেলায় চাঁদের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায় কিন্তু রাতের বেলাতে এই তাপমাত্রা -১৭৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।মানব শরীর তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তন সহ্য করতে পারেনা। আর একারণে মানুষ চাঁদের পৃষ্ঠে বেশি সময় থাকতে পারেনা।
কিন্তু নাসা তাদের ভবিষ্যৎ ডিপ স্পেস মিশনের জন্য ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে পুনরায় ল্যান্ডিং করার পরিকল্পনা করেছে।আর একারনে চাঁদে লুনার বেস স্থাপন করে সেখানে বেশ কয়েকদিন বা কয়েক মাস অবস্থান করার পরিকল্পনা করেছে।নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন চাঁদের বেশ কিছু যায়গা আছে যেখানে তারা খুব কম পরিশ্রমে লুনার বেস তৈরি করতে পারবেন।
এর মধ্যে প্রধান হলো চাঁদের ভলকানিক লাভার টিউব। এসমস্ত ভলকানিক লাভার টিউবের নির্মাণ লাখো বছর পূর্বে হয়েছিল।সেসময় চাঁদের কোর অত্যন্ত একটিভ ছিল,এবং গরম লাভা ওই টিউবের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করত।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এসমস্ত টউব দিয়ে লাভা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর তাই বিজ্ঞানীরা লুনার বেস স্থাপন এর জন্য এসব টিউব ব্যবহার করবেন।
আর এসব লুনার বেস অ্যাস্ট্রোনটদের কসমিক রেডিয়েশন এবং চাঁদের পরিবর্তনশীল তাপমাত্রার প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।এছাড়াও ভবিষ্যতপে আরও লুনার বেস, লুনার ভিলেজ,লুনার সিটি এবং অন্যান্য ইনফ্রাসট্রাকচার তৈরি তে সহায়তা করবে। এবং চাঁদকে ফিউল স্টেশন বা ভবিষ্যত স্পেস মিশন লঞ্চ করার স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।এমনকি চাঁদ থেকে মঙ্গল, ও বৃহস্পতি গ্রহের বিভিন্ন উপগ্রহে মানব বসতি স্থাপন সম্ভব হবে।
ধৈর্য সহকারে এবং কষ্ট করে পোষ্ট টি পড়ার জন্য আপনাদের জানাই ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।আর যদি আমার ভুল হয় অবশ্যই সেটা আমাকে জানাবেন।