আপনার কি রাতে ঘুম হয় না? আপনি কি রাত জেগে অভস্ত্য?যদি উত্তর হয়, হ্য্য।তাহলে লেখাটি পড়ে আপনি বুজতে পারবেন নিজের কতো বড় ক্ষতি করছেন।
সুচিঃ
- নিয়মিত ঘুম কি?
- নিয়মিত না ঘুমালে যে ক্ষতি হয়।
- নিয়মিত ঘুম না হওয়ার করন।
- নিয়মিত ঘুমানোর ম্যাজিক ফর্মুলা।
- নিয়মিত ঘুমাতে কিছু বিশেষ খাবার।
- নিয়মিত ঘুমের সুফল।
নিয়মিত ঘুম কি?
সহজ ভাষায়,আমারা দৈনিক কমপক্ষে যে সময় ঘুমালে সুস্থ থাকব সে সময় ঘুমানোই নিয়মিত ঘুম।একজন সুস্থ মানুষের (প্রাপ্ত বয়স্ক)দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।তবে ছয় ঘন্টার কম নয়।আবার শারীরিক পরিশ্রম করলে বেশি হতে হবে।সেটা নির্ভর করে শক্তি খরচের উপর।এখন আপনি কতোটুকু ঘুমান? চিন্তা করে দেখেন।আবার আপনি কোন সময় ঘুমাবেন? ঘুমের জন্য পারফেক্ট সময় কোনটি? তা নিয়ে চিন্তিত হবে না।একটু পর ক্লিয়ার করছি।
নিয়মিত না ঘুমালে যে ক্ষতি হয়
আমরা ছোট হতে একটা প্রবাদ পড়তাম,বিশ্রাম কাজের অঙ্গ। আসলে ঠিক শুনেছেন বা পড়েছেন।নিয়মিত না ঘুমালে আপনি কাজ করতে স্বাদছন্দ বোধ করবেন না।আপনি নিয়মিত না ঘুমালে কাজে মন বসাতে পারবেন না।নিয়মিত না ঘুমালে আমাদের হরমোন এর পরিবর্তন হতে থাকে।ফলে বড় ধরনের হরমোনাল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি নিয়মিত না ঘুমালে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা নিচে দেওয়া হলোঃ-
- মোটা হওয়ার প্রবনতা বেড়ে যাবে।
- হৃদপিণ্ডে রক্ত চাপ বেড়ে যাবে।ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিতে পরবেন।
- কাজে অবসাদ দেখা দিবে।
- সৃতি শক্তি কমতে থাকবে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকবে।
- হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকবে।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
- মাথা ব্যাথা ও সাইনাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
নিয়মিত ঘুম না হওয়ার কারন
নিয়মিত ঘুম না হওয়ার নানা রকম কারন রয়েছে। নিয়মিত ঘুমের কারনগুলোর মাঝে কোনটি আপনার আছে তা দেখে নিতে পারেন-
- বর্তমান সময়ে ফোন নিয়ে সময় কাটাতে ঘুমের কথা ভুলে যায় অনেকে।অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার ঘুমে বাধা দেয়।
- নানা রকম মানসিক চাপ যেমন, চাকরি হারানোর ভয়,টাকা পয়সার অভাব,পারিবারিক চাপ ইত্যাদির কারনে ঘুমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটায়।
- রাতে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি ইত্যাদি অতিরিক্ত পান করা।
- অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ পান করলে।
- অতিরিক্ত ধুমপান করলে।
নিয়মিত ঘুমানোর কিছু ম্যাজিক ফর্মুলা
নিয়মিত ঘুমাতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন, রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন বিছানা হতে দুরে হাতের নাগালের বাইরে রেখে দিবেন।প্রতিদিন রাতের খাবার একটু তারাতাড়ি খেয়ে নিবেন।প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাবেন।কখন ঘুমাতে যাবেন? ঘুমের সঠিক সময় হলো রাত ৯ টা হতে ভোর ৪ টা। আপনি এর মাঝে অথবা মোট ৮ ঘন্টা রাতে ঘুমাতে পারেন।ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘন্টা আগে চা,কফি খাবেন না।অ্যালকোহল, ধুমপান হতে বিরত থাকবেন।আশা করি এসব মেনে চললে আপনি সঠিক সময়ে ঘুমাতে ও নির্দিষ্ট সময় সুন্দর ঘুম উপভোগ কটতে পারবেন।
নিয়মিত ঘুমাতে কিছু বিশেষ খাবার
আপনি রাতে ঘুমানোর আগে পটাশিয়াম জাতীয় খাবার খেতে পারেন।সেসব খাবারে পটাশিয়াম রয়েছে সেসকল খাবার খেতে পারেন। নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলোঃ-
- কলা
- কাঠ বাদাম
- চিনা বাদাম ইত্যাদি
নিয়মিত ঘুমের সুফল
সুন্দর জীবন উপভোগ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে।আর সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে শরীরের ক্লান্তি দুর করতে ঘুমের ঝুরি নেই।নিয়মিত ঘুম হলে আপনি সারাদিন রিল্যাক্সে কাজ করতে পারবেন।নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।মোটা হওয়ার প্রবনতা কমবে।আপনি হৃদ রোগের ঝুঁকি হতে বাচতে পারেন।
সর্বশেষ কথা
সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে কে না চায়? তাই নিয়মিত ঘুমাতে হবে।মন্দ অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করলে আপার এই সমস্যা থাকবে না বলে মনে করি।সকলের সুস্থতা কামনা করি।