কঠোর পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করার পর তৎক্ষণাত-
খাদ্য গ্রহণ করলে দেহের ক্ষতি হবে। কেননা শরীরের উত্তাপ এবং ক্লন্তিময় অবস্তার মধ্যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পরিপাকযন্ত্র, মস্তিষ্ক ইত্যদির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যায়। এমনিভাবে কঠোর পরিশ্রম, উত্তেজনা ও কর্ম ব্যস্ততার পরপরই খাদ্য গ্রহণ করলে পরিপাকের দুর্বলতা অপরিহর্য হয়ে যায়। কারণ ঐ মুহূর্তে শরীরের আকর্ষণ থাকে ভিন্ন দিকে এবং অস্থি ও জোড়াসমূহ ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না।
তদ্রুপ ক্ষতি হয় খাদ্য গ্রহণের পরপরই শরীর চর্চা করলে কিংবা কঠিনকাজে লেগ লেগে। কেননা শরীরের কর্ম তৎপরতা ও শক্তিসমূহ তখন দুদিকে ব্যস্ত থাকে। সুতরাং পাকস্থলী পরিপাকের কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারে না। অতএব খাদ্য গ্রহণ করার একটি স্বাস্থ্যসম্মত বিধান হল শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি ও স্থিরতা।
বিশিষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী জালিউনুস বলেন, ধীরস্থিরভাবে ও প্রশান্তিতে খাদ্য গ্রহণ করলে তা পরিপাক ও দেহ গঠনে যথেষ্ঠ সহায়তা করে। পক্ষান্তরে ক্লান্তি- শ্রান্তি ও শোক তাপের মধ্যে খাদ্য ভক্ষণ করলে দেহের বৃদ্ধি সাধন হয় না।
কিনান ইউরোপের একজন এক্সরে বিশেষজ্ঞ। এক্সরে মেশিনের সাহায্যে তিনি পাকস্থলী, যকৃৎ, নাড়িভুঁড়ী, ইত্যদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন যে, রোগ ও শোক-দুঃখের সময় পাকস্থলী ও অবশিষ্ট যাবতীয় অঙ্গ- প্রত্যঙ্গের উপরে চাপ পড়ে। যার ফলে মানুষ অনুভূতিহিন হয়ে পড়ে। সুতরাং বাস্তব ও স্বস্থ্যসম্মত একটি পাকস্থলীতে ক্লান্তির সময় খাদ্য গ্রহণ করার সময় হাসি-খূশি ও উৎফুল্ল থাকা উচিত।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বসম্মত বিধান হল, আমরা যে জিনিসই খাই না কেন উহার তাপমত্রা দেহের চাহিদা মোতাবেক হতে হবে। বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ড হলে হবে না বরং মাঝমাঝি হতে হবে। বরফ, আইসক্রীম, মালাই, বরফের বোতল বা এ জাতীয় যে কোন ঠণ্ডা বস্তু দাঁত ও মাড়ির জন্য ক্ষতিকারক। এছাড়া হিমায়িত পানি, বরফ এবং অধিক ঠণ্ডা জাতীয় জিনিস পাকস্থলীর দুর্বলতার কারণ। অথএব পাকস্থলী ও শরীরকে স্বুস্থ্য রাখতে, আমাদের খাবারের ব্যাপারে অনেক সতর্ক থাকা দরকার।