আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা!আশা করি সবাই ভালোই আছো। আজকে আমি তোমাদের সাথে আমার একটি পর্যবেক্ষণ লব্ধ বিষয় শেয়ার করবো। যখন ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিলো না তখন আমরা প্রকৃতির অনেক সন্নিকটে ছিলাম। আর এখন প্রকৃতি তো আমাদের দেখে রীতিমতো ভয় পায়!কি ভূল বললাম বুঝি? বিষয়টি হলো আমরা যত বেশী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একিয়ে যাচ্ছি আমরাও প্রকৃতি থেকে ততটাই অনেক দূরে সরে যাচ্ছি!! এর কারন কি হতে পারে? আমরা এখন ফেসবুকে এতটায় আসক্ত যে আকাশে যদি পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে;সেই চাঁদ দেখার সময়টুকু আমাদের হাতে নেই! সময় হবে কিভাবে? আমরা যে ফেসবুক ডুবে আছি!আমরা ফেসবুকে এতোটায় আসক্ত হয়ে গেছি যে আবহমান বাংলার স্রোতিষ্যিনী নদীগুলোর ঢেউয়ের অপরুপ খেলা এখন আর দেখতে যেতে পারি না!আমরা এখন ফেসবুকে এতটায় যান্ত্রিক হয়ে গেছি যে ভর দুপুর বেলায় কোন এক হিজল গাছের নীচে বসে যে পাখিন কলরব শোনব সেই সময় টুকু কি আমাদের আছে? আমরা ফেসবুকে এতটায় মগ্ন যে বর্ষাকালের পালতুলা নৌকা দেখার সৌভাগ্য হয় না! না, কি বলছি এসব? প্রযুক্তির কল্যানে পালতুলা নৌকা তো অনেক আগেই বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছ! এটাকে ফেসবুকের আসক্তির কুফল ধরা যায় না কিন্তু আমরা যে ক্লাস ৫ থেকে নৌকা ভ্রমনের রচনা আর প্যারাগ্রাফ পড়ে বড় হয়েছি সেই নৌকা ভ্রমনে কি যাওয়া হয়? হায়রে দূর্ভাগা কপাল ফেসবুকের আসক্তির কুফলে নৌকা ভ্রমনেও আর যাওয়া হয় না!তা শুধুই মনের কল্পনা। যাক নদীকে নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। অন্যদিকে মনদেওয়া যাক!একটা বিষয় ভেবে দেখছেন ফেসবুকের আসক্তে পড়ে আমরা চিত্ত বিনোদনের উত্তর মাধ্যম যে খেলাধুলা তার সময় কি আমরা পাচ্ছি? পাওয়ার তো কথাও না; আমরা যে ফেসবুকে ডুবে আছি। ফেসবুক আমাদের বড়ই যান্ত্রিক করে দিয়েছ। এর থেকে পরিত্রানের উপায় আছে কি? আমার একটা বিষয়ভেবে অনেক অবাক লাগে কারন এখন আমরা যদি সমাজে কোন অন্যায় অত্যাচার সংঘটিত হতে দেখি;কই এদের গিয়ে অন্যায় কাজে বাঁধা দিবো তা না করে আমরা ভিডিও করে ফেসবুকেে পোস্ট করার জন্য মগ্ন হয়ে পড়ি!আপনার মতো সবাই যদি ভিডিও না করে অন্যায় কাজের বাঁধা দিতো তাহলে হয়তো এই অন্যায় কাজটি সংঘটিত নাও হতে পারতো!আচ্ছা এই বিষয় বাদ দেওয়া যাক!ফেসবুকের অকল্যানে যে আমরা পরিবার থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি;পরিবারকে সময় দেওয়ার সেই সময়টুকু আমাদের নেই। আমরা বড়ই যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি তাই নয় কি? এবার শেষ করা যাক। ফেসবুক আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে প্রকৃতির সেই মর্মর স্নিগ্ধতা,পারিবারিক বন্ধন এবং গতানুগতিক বাল্যকালের সেই চিরচেনারূপ সহ আরো কতো কি!
আমরা কি এই যান্ত্রিক জীবন থেকে কোনদিন বের হতে পারবো??
লেখক-
মোঃজিল্লুর রহমান
জাককানইবি
একুশ শতকে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
আমরা জানি,পৃথিবীর মানুষকে এক সময় বেছে থাকার জন্য পুরোপুরি প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হতো।মানুষ বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার করে প্রকৃতির ওপর...